আগামী ৫০ বছরে দেশকে ভূমিকম্প সহনীয় রাষ্ট্রে পরিণত করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো: এনামুর রহমান।
বুধবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে ‘সুপার-সমকাল আর্থকোয়েক অ্যান্ড ফায়ার প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ‘ভূমিকম্প মোকাবিলায় এখনো পর্যাপ্ত সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি। দেশে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকায় মারা যাবে দেড় লাখ মানুষ। আর হতাহত হবে প্রায় ৫ লাখ মানুষ। ১ লাখ ৭২ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হবে। জাপানের মতো দেশকে ভূমিকম্প সহনীয় দেশে পরিণত করতে ৩০ বছর লেগেছে। সেখানে আমরা চেষ্টা করছি অন্তত ৫০ বছরে হলেও যেন বাংলাদেশ ভূমিকম্প সহনীয় দেশে পরিণত করা যায়। সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।’
ঢাকার ঝুঁকিপূর্ণ ও শত বছরের বেশি পুরোনো ভবনগুলো পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলা হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিল্ডিং কোড ছাড়া নতুন করে কোনো ভবন নির্মাণ করতে দেয়া হবে না। জাইকা’র সহযোগিতায় নতুন করে ভূমিকম্প সহনীয় ভবন নির্মাণ করা হবে।
তিনি বলেন, ভূমিকম্প সহনীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশ গড়তে আমরা কাজ করছি। এক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুর্যোগের ঝুঁকি কমানোর সুফল আমরা পাচ্ছি। ইতোমধ্যে দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে পোশাক খাতে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।
‘সরকার ইতোমধ্যে ৮টি জোনে ভাগ করে ঢাকাকে ভূমিকম্প সক্ষমতা তৈরি করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। জাইকার সহযোগিতায় ভূমিকম্প সহনীয় ভবনের উপর সার্ভে করা হয়েছে। জাপান সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে।’
এনামুর রহমান বলেন, জাপানের আর্থিক ও জাইকার কারিগরি সহযোগিতায় নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে। এজন্য বেসরকারিভাবে প্রকৌশলী নিয়োগ দেওয়া হবে। শুধু ভবন নয়, নতুন সব সেতুও নির্মাণ করা হবে ভূমিকম্প সহনীয় সক্ষমতায়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভূমিকম্প মোকাবিলায় আসলে আমাদের খুব বেশি সক্ষমতা নেই। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সাফল্যের জন্য আমাদের অর্জন আছে, অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। বন্যা, ঘূর্নিঝড় মোকাবিলায় আমরা শতভাগ সফল। আমরা ৪২০ কোটি টাকার উদ্ধার ও অনুসন্ধান কাজের উপকরণ কিনেছি। সেগুলো ফায়ার সার্ভিস, সিটি করপোরেশন ও সেনাবাহিনীকে দেয়া হয়েছে।
সূত্র : ইউএনবি