একদিনের ব্যবধানে আবারো হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির অফিস ও বিএনপি নেতা জিকে গউছের বাসভবনে ব্যাপক হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে।
বোরবার (২০ আগস্ট) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জিকে গউছ জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের একটি মিছিল থেকে জেলা বিএনপির শায়েস্তানগরস্থ অফিসে হামলা চালানো হয়। একইসাথে বিএনপি অফিসের কাছাকাছি অবস্থিত তার নিজের বাসভবনে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে পুলিশ মুহুর্মুহু গুলি, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। একই সাথে সাউন্ড গ্রেনেডে এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠে।
এর একদিন আগে শনিবার পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। ওই ঘটনায় হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান, হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেবসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমানকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে, ওসি অজয় চন্দ্র দেবকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ রিপোর্ট লেখার সময় রোববার সন্ধা সাড়ে ৭টার দিকেও পুলিশ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সাথে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ চলছিল।
এদিকে ঘটনাস্থলে থাকা সাংবাদিক জাকারিয়া চৌধুরী জানান, কাঁদানে গ্যাসের ঝাঝে এলাকার সাধারণ মানুষ অসুস্থ হতে চলেছে। বাসাবাড়িতে থাকা শিশু ও বৃদ্ধ মানুষ বেশি সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। বিচ্ছিন্নভাবে চারদিকে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ায় শায়েস্তানগর এলাকার বাসাবাড়ি থেকে কেউ বের হতে পারছে না।
শায়েস্তানগর এলাকার বাসিন্দা শাহিন আরা মুন্নি জানান, ব্যাপক সংঘর্ষ ও কাঁদানে গ্যাসের ঝাঝের কারণে তিনি বাসায় প্রবেশ করতে পারেননি। তিনি ওই এলাকা থেকে ফিরে এসেছেন।
শায়েস্তানগর এলাকার কাজী জানৃনাতুল ফেরদৌসী শান্তা জানান, পুলিশের মুহুর্মুহু গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের কারণে তিনি নির্ধারিত প্রাইভেট পড়তে যেতে পারেননি।