ক্ষেতের ধান চুরির মামলায় লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন জসিমসহ ৯ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তারেক আজিজ আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
মামলার বাদী জামেনারা আক্তার লিনা কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ গ্রামের ডা. সৈয়দ জাকির হোসেনের স্ত্রী। আসামি ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন সম্পর্কে বাদীর চাচা।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আদনান আমিন, ফরহাদ হোসেন, ইফতেখার হোসেন শাওন, নুরুল আমিন, অজি উল্যাহ, খোরশেদ আলম, নোমান পাটওয়ারী, সফি উল্যাহ। বাদী ও আসামিরা সবাই একই পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়। তাদের বাড়ি রামগতি উপজেলার চরসীতা গ্রাম ও কমলনগর উপজেলার চরলরেন্স গ্রামে।
বাদীর আইনজীবী সাজ্জাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ধান চুরি মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান জসিমসহ অন্য আসামিরা আদালতে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আসামিরা আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে বাদীর জমিতে থাকা ২৫০ মণ ধান চুরি করে নিয়ে যান।
মামলার এজাহার থকে জানা যায়, ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর রাতে চেয়ারম্যান জসিম ও তার বড় ভাই নুরুল আমিন, ছেলে ইফতেখার হোসেন শাওনের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা তোরাবগঞ্জ গ্রামে বাদীর ৪ একর ৪৫ শতাংশ জমিতে থাকা ২৫০ মণ আমন ধান কেটে নিয়ে যান। ধানগুলোর বাজার মূল্য প্রায় আড়াই লাখ টাকা। ধান লুটে বাধা দেওয়ায় বাদীকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করা হয়। এ ঘটনায় ১৫ ডিসেম্বর জামেনারা আক্তার বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কমলনগর আদালতে ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তখন আদালত ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। চলতি বছর ১৫ মার্চ থানা পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আজ রোববার আদালতে মামলা শুনানির পূর্বনির্ধারিত সময় ছিল। এতে বাদী ও আসামিরা আদালতে উপস্থিত হন। এ সময় আসামিরা জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।