কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে এবার ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা পাওয়া গেছে। একইসঙ্গে দানবাক্স থেকে বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনা-রূপার গহনা পাওয়া গেছে। এবার দানবাক্সে পাওয়া অর্থ আগের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে বলে জানিয়েছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ।
আজ শনিবার সকালে মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়। দানবাক্সের অর্থ গণনায় প্রায় ২২০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছিল। শনিবার রাত ৯টার দিকে অর্থ গণনা শেষ হয়। পরে টাকা স্থানীয় রূপালী ব্যাংকে জমা করা হয়।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সর্বশেষ গত ৬ মে মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ১৯ বস্তায় ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি ৩ মাস ১ দিন পর দানবাক্স খোলা হয়েছিল। ২০টি বস্তায় তখন ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা পাওয়া যায়।
মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দান দানবাক্স খোলা হয়েছে। দানবাক্সগুলো খুলে ২৩টি বস্তায় ভরে টাকাগুলো মসজিদের দোতলায় নেওয়া হয় গণনার জন্য।
টাকা গণনা কাজে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এ.টি.এম ফরহাদ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মহুয়া মোমতাজ, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ভূমি), এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাশিতা-তুল ইসলাম, তানিয়া আক্তার, নাবিলা ফেরদৌস, মাহমুদা বেগম সাথী, ফাতেমা-তুজ-জোহরা, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা মো. আনোয়ার কামাল, আওয়ামী লীগ নেতা ও নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-২ এর পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক সাইফুল হক মোল্লা দুলুসহ মাদ্রাসার ১১২ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নেন।