জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জানাজায় আসেন যুদ্ধাপরাধের মামলায় বহুল আলোচিত সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি। এ সময় তাকে অঝোরে কাঁন্না করতে দেখা যায়।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে সাঈদী ফাউন্ডেশনের (পিরোজপুর নতুন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন) ভবনে তাকে দেখা যায়।
সুখরঞ্জন বালি পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার পাড়েরহাট বন্দরের কাছে উমেদপুর গ্রামের বাসিন্দা বিশারঞ্জন বালি হত্যা মামলার স্বাক্ষী এবং তার ছোট ভাই।
তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘মাওলানা সাঈদী আমার জানা মতে রাজাকার ছিলেন না এবং আমার বড় ভাই বিশা বালিকে হত্যাও করেননি। আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে আমার বাড়ির পাশের মাহাবুবুর রহমানকে আমার ভাই হত্যা মামলার বাদি করা হয়। আমাকে বাদি না করে ভাই হত্যা মামলার স্বাক্ষী করা হয়। হত্যাকারীরা আমার বাড়িতে আসার সংবাদ পেয়ে আমি আমার মাকে নিয়ে ঘরের পাশের পায়খানার মধ্যে পালিয়ে ছিলাম। যারা আমার বাড়িতে এসে লুটপাট ও আমার ভাইকে হত্যা করেছে তাদের মধ্যে মাওলানা সাঈদী ছিলেন না। আমার বয়স তখন ২১ কিংবা ২২ বছর।
তিনি বলেন, ‘আমি স্বাক্ষী না দেয়ায় রহস্যজনক কারণে হাইকোর্ট চত্বর থেকে আমাকে অপহরণ করে গুম করে পাশের দেশে পাঠানো হয়। আমি ওই দেশে জেল খেটে বাড়ি এসেছি।’