যুদ্ধাপরাধের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বুকে ব্যাথা অনুভব করায় তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার সন্ধ্যায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১’র সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ জানান, আজ দুপুরে দেলোওয়ার হোসেন সাঈদীর বুকে ব্যাথা অনুভব করলে তাকে কারা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তিনি ২০১৯ সাল থেকে এ কারাগারে আছেন।
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, আজ বিকেল সাড়ে ৫টায় তাকে বুকে ব্যাথা জনিত সমস্যার কারণে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। তিনি যেহেতু বয়স্ক মানুষ তার কিছু সমস্যা ছিল। তার বুকে ব্যাথা, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস জনিত কিছু সমস্যা আছে। তাকে ইসিজিসহ যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। পরে তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলে তাকে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, দেলোয়ার হোসেন সাঈদী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের আটটি অভিযোগ প্রমানণিত হলে আর্ন্তাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের মধ্যে দুইটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়। পরে আদালতে ওই সাজার রিভিউ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ তার মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন। বর্তমানে তিনি ওই মামলায় সাজাভোগ করছেন। তিনি ২০১০ সালের ২৯ জুন রাজধানীর শাহীনবাগের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন।