বাংলাদেশের লোকগানের জনপ্রিয় শিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আদালত। টাকা নিয়েও অনুষ্ঠান করতে না আসায় তার বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণাসহ একাধিক মামলা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
২০০৮ সালে মমতাজের বিরুদ্ধে মামলা করেন ইভেন্ট অর্গানাইজার শক্তিশঙ্কর বাগচী। তার অভিযোগ, ২০০৪ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য মমতাজের সঙ্গে তার লিখিত চুক্তি হয়। সে অনুসারে, ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে বহরমপুরের একটি অনুষ্ঠানে প্রধান শিল্পী হিসেবে গান গাওয়ার জন্য ১৪ লাখ রুপির বায়না নিয়েছিলেন মমতাজ। কিন্তু টাকা নিয়েও অনুষ্ঠানে যোগ দেননি এই শিল্পী। পরে টাকা ফেরত চাইলেও মমতাজ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
শক্তিশঙ্কর বাগচী অভিযোগ করেন, টাকা নেওয়ার জন্য বারবার ঢাকা গেলেও মমতাজ বিষয়টি এড়িয়ে যান। তার দাবি, মমতাজকে ৭৫ হাজারবার ফোন করেছেন। এ নিয়ে আদালতের কাছে সব ফোনের তথ্যও পেশ করেন তিনি।
শক্তিশঙ্কর আরও অভিযোগ করেন, মমতাজ আদালত আইনকে ফাঁকি দিকে ‘টেরোরিস্ট’ কায়দায় ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্টের আড়ালে নিজের নাম বদলে মমোতাজ বেগম করেছেন। এ নিয়ে তিনি আদালতকে সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।
জানা যায়, ২০০৯ সালে মমতাজের বিরুদ্ধে সমন জারি করে আদালত। পরে সমন কার্যকর না করায় তার বিরুদ্ধে জারি হয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। এরই মধ্যে নিম্ন আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে আসেন গায়িকা।
পরে নিম্ন আদালতের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শক্তিশঙ্কর বাগচী। ২০১০ সালে নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করে মমতাজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রাখেন কলকাতা হাইকোর্ট।
পশ্চিমবঙ্গের সূত্রে জানা যায়, সবশেষ গত ৯ আগস্ট ফের আদালতে হাজিরা এড়িয়ে যান গায়িকা। বাংলাদেশ হাইকমিশন মারফত জানানো হয় এই মুহূর্তে একটি কনসার্টের কারণে কানাডায় অবস্থান করছেন গায়িকা। তাই আদালতে তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন না।