জাল কাগজে রাষ্ট্রের প্রায় ২০০ কোটি টাকা লুট!

Slider বিচিত্র


পদ্মা সেতুর বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য সরকার ব্যক্তিমালিকানার জমি অধিগ্রহণ করেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে জমির মালিকদের সরকার টাকা পরিশোধ করেছে। কিন্তু সেই টাকা প্রকৃত মালিকের হাতে না গিয়ে চলে গেছে এক শ্রেণির দালালের পকেটে। এ ছাড়া খাসজমিকেও বিভিন্ন ব্যক্তির নামে জাল কাগজ বানিয়ে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে চক্রটি। চক্রের প্রধান অভিযুক্ত হলেন কে এম নাসির নামে এক ব্যক্তি।

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় ১০ থেকে ১৫টি মৌজার জমি পদ্মা সেতুর বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছে। সেসব জমির ক্ষতিপূরণের বিল নামে-বেনামে তৈরি করে ওই দালাল চক্র। আর সরকারি জমির জাল কাগজপত্র তৈরি করে ব্যক্তিমালিকানা জমি দেখানো হয়েছে। দালাল চক্রের সদস্যদের সহায়তা করেছে জেলা প্রশাসন অফিসের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী।

ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িত ২০ জনের তালিকা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) চিঠি দিয়েছে প্রশাসন। সেই তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে কে এম নাসিরের নাম। সে শিবচর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের গুপ্তেরচর এলাকার গবাদিপশু চিকিৎসক কাজী মোজাম্মেল হকের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, কে এম নাসির ১০ বছর আগে ঢাকার একটি চায়নিজ রেস্টুরেন্টের ওয়েটার ছিল। এরপর গ্রামে এসে বাবা কাজী মোজাম্মেল হককে পশুর চিকিৎসায় সহায়তা করতো। গত ছয়-সাত বছরের মধ্যে সে এখন কোটি-কোটি টাকার মালিক।

তারা আরও জানান, পদ্মা সেতুর বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ শুরু হলে কে এম নাসির দালালি শুরু করে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহায়তায় অন্যের জমির অধিগ্রহণ করা, বিল ছাড়িয়ে আনা, অবকাঠামোর ক্ষতিপূরণের বিল কয়েকগুণ বাড়িয়ে আনাসহ বিভিন্নভাবে দালালি শুরু করে সে। একপর্যায়ে মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। সেই সুবাদে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যায় এই যুবক।

এরপর আর পিছু ফিরতে হয়নি নাসিরকে। গড়ে তোলে বড় একটি দালাল সিন্ডিকেট। অন্যের জমির বিল তুলে আনাসহ সরকারি খাসজমি বিভিন্ন মানুষের নামে ভুয়া কাগজ তৈরি করে কোটি কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে উত্তোলন করতে থাকে। এরপর ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, সার্ভেয়ারসহ সিন্ডিকেটের সদস্যরা টাকা ভাগাভাগি করে নিতো।

চক্রের কবলে পড়ে ক্ষতিপূরণের বিল না পাওয়াদের মধ্যে একজন শিবচরের হারুন বেপারী। তিনি বলেন, ‘ডাইয়ারচর মৌজায় রেল-সংযোগ সড়কে আমার কিছু জমি অধিগ্রহণ করেছে সরকার। সেখানে ৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বিল হয় আমার। কয়েক বছর ধরে মাদারীপুর এলএ শাখায় বিলের জন্য ঘুরতে ঘুরতে আমি যখন ক্লান্ত, তখন শুনি সেই টাকা নাসিরের দালাল চক্রের সদস্য শাহিন বেপারী ওরফে সাহেব বেপারীর নামে ভুয়া কাগজ তৈরি করে তুলে নিয়ে গেছে।’

আরেক ভুক্তভোগী খোকন শিকদার বলেন, ‘মাদবরেরচর ইউনিয়নের ডাইয়ারচর মৌজায় আমার ৬৪২ নম্বর দাগে জমি অধিগ্রহণ হলে প্রায় ৬ কোটি টাকা বিল হয়। সেখান থেকে ২ কোটি ৫২ লাখ টাকা দালাল চক্র তুলে নিয়ে গেছে। এর সঙ্গে সার্ভেয়ার নাসির, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা প্রমথ রঞ্জন ঘটক, দত্তপাড়ার কে এম নাসির জড়িত আছে।’

খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, দালাল চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যক্তিকে অর্থের লোভ দেখিয়ে তাদের নামে ভুয়া কাগজ তৈরি করে সরকারি অর্থ হাতিয়ে নিতো। যাদের নামে চেক ইস্যু করা হয়েছে, তাদের অ্যাকাউন্টে জালিয়াতি করে নেওয়া সরকারি টাকা জমা হওয়ার পর সেই টাকা চলে যেতো মূল দালাল কে এম নাসিরের অ্যাকাউন্টে।

ব্যাংকিং লেনদেনের প্রমাণপত্র আসে এই প্রতিবেদকের হাতে। সেখানে দেখা যায়, ২০২১ সালের ৪ মার্চ এলএ কেস ৫/১৯-২০ এর ১৫৮২৩৯ ক্রমিকে ১ কোটি ৮৮ লাখ ১৪ হাজার ৩০০ টাকার চেক গ্রহণ করেন শাহিন বেপারী ওরফে সাহেব বেপারী। সেই টাকা তার ব্র্যাক ব্যাংকের ৩৫০২১০৪৬৬৩৪০৮০০১ হিসাব নম্বর মাদারীপুর শাখা থেকে ২৫ মার্চ ব্র্যাক ব্যাংক মাদারীপুর শাখার ৩৫০১১০৪২৩৪৭৯২০০১ হিসাব নম্বরে প্রথমবার ৭৪ লাখ টাকা, দ্বিতীয়বার ৭৪ লাখ ১২ হাজার টাকা মোট ১ কোটি ৪৮ লাখ ১২ হাজার টাকা স্থানান্তর করা হয়। ব্র্যাক ব্যাংকের মাদারীপুর শাখার ৩৫০১১০৪২৩৪৭৯২০০১ হিসাব নম্বর কে এম নাসিরের।

অনুসন্ধানে উঠে আসে, শিবচর উপজেলার ডাইয়ারচর মৌজায় এলএ কেস নম্বর ৫/১৯-২০ এর ১৫৮২৩৯ নম্বর চেকে ১ কেটি ৮৮ লাখ ১৪ হাজার ৩০০ টাকা। ১৫৮৬৪০ নম্বর চেকে ৩২ লাখ ৫৫ হাজার ৯৭৩ টাকা। ১৫৮৪৬২ নম্বর চেকে ৬৪ লাখ ৭৬ হাজার ৫২৫ টাকা। এলএ কেস নম্বর ৪/১৫-১৬ এর ১৫৮৫৯৭ নম্বর চেকে ৪৩ লাখ ৩৮ হাজার ৬৯৫ টাকা। ১৫৮৬৪৫ নম্বর চেকে ৪৯ লাখ ১৭ হাজার ১৮৭ টাকা।

পাঁচ্চর মৌজায় ২ জুন ২০২১ তারিখের এলএ কেস নম্বর ৪/১৫-১৬ এর ১৫৮৫৯০ নম্বর চেকে ১৯ লাখ ৩৩ হাজার ৬৬ টাকা। ১৫৮৫৯৮ নম্বর চেকে ২০ লাখ ৮১ হাজার ৪১৭ টাকা। ১৫৮৬১৮ নম্বর চেকে ৩৪ লাখ ২১ হাজার ৭৭ টাকা।

সতের রশি মৌজায় এলএ কেস নম্বর ৪/১৫-১৬ এর ১৫৮৬৪২ নম্বর চেকে ৩৭ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৮ টাকা। ১৫৮৬২৬ নম্বর চেকে ৪৫ লাখ ২ হাজার ২৫৬ টাকা। ১৫৮৬২২ নম্বর চেকে ৪৫ লাখ ২ হাজার ২৫৬ টাকা। ১৫৮৬৪৯ নম্বর চেকে ১৮ লাখ ৩৪ হাজার ১৮ টাকা। ১৫৮৬৪১ নম্বর চেকে ২৮ লাখ ১২ হাজার ৭১৫ টাকা।

কেরানীবাট মৌজায় এলএ কেস নম্বর ১/১৮-১৯ এর ১৫৮৬১৬ নম্বর চেকে ২৪ লাখ ৮৫ হাজার ৬৯৩ টাকা। ১৫৮৬১৯ নম্বর চেকে ১৬ লাখ ৬২ হাজার ৮৪৩ টাকা। ১৫৮৬২৪ নম্বর চেকে ৫৩ লাখ ৯৯ হাজার ৯৫৫ টাকা। ১৫৮৬১৪ নম্বর চেকে ১৭ লাখ ১৪ হাজার ২৭২ টাকা। ১৫৮৬২০ নম্বর চেকে ৩৩ লাখ ৮ হাজার ৫৪৪ টাকা। ১৫৮৬১২ নম্বর চেকে ২৪ লাখ ৮৫ হাজার ৬৯৩ টাকা। ১৫৮৬২৮ নম্বর চেকে ৬২ লাখ ৪৮ হাজার ৫১৯ টাকা। ১৫৮৬১৩ নম্বর চেকে ২৪ লাখ ৮৫ হাজার ৬৯৩ টাকা। ১৫৮৬২৭ নম্বর চেকে ৩৩ লাখ ৮ হাজার ৫৪৪ টাকা। ১৫৮৬২৫ নম্বর চেকে ৩৩ লাখ ৮ হাজার ৫৪৪ টাকা। ১৫৮৬১৫ নম্বর চেকে ২৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৩ টাকা। ১৫৮৬২৩ নম্বর চেকে ৫৯ লাখ ৩৯ হাজার ৯৫০ টাকা।

মাগুরখণ্ড মৌজায় এলএ কেস নম্বর ৬/১৭-১৮ এর ০৯৭৬৩১ নম্বর চেকে ৫৯ লাখ ৭৫৯ টাকা। বড় বাহাদুরপুর মৌজায় এলএ কেস নম্বর ৭/১৭-১৮ এর ১৫৮৬৪৭ নম্বর চেকে ২৬ লাখ ৭৯ হাজার ৮৯৯ টাকা। ১৫৮৬৪৮ নম্বর চেকে ১৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯৫০ টাকা। গুয়াতলা মৌজায় ২০২১ সালের ২ জুন এলএ কেস নম্বর ০৭/১৭-১৮ এর ১৫৮৬২১ নম্বর চেকে ১৫ লাখ ২৩ হাজার ৩৮৯ টাকা। ১৫৮৬১৭ নম্বর চেকে ১ কোটি ১৫ লাখ ৫ হাজার ৯৫৯ টাকা।

নলগোড়া মৌজায় এলএ কেস নম্বর ১১/১৬-১৭ এর ১৫৮৬০০ নম্বর চেকে ৪৫ লাখ ৬৭ হাজার ৯৩৭ টাকা। এলএ কেস নম্বর ০৭/১৭-১৮ এর ১৫৮৫৯৬ নম্বর চেকে ৫১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৫০ টাকা। ১৫৮৬৫০ নম্বর চেকে ২৫ লাখ ৭৪ হাজার ১৬১ টাকা। দক্ষিণ চরজানাজাত মৌজায় এলএ কেস নম্বর ০৭/১০-১১ এর ১৫৮৬৮০ নম্বর চেকে ১৬ লাখ ৪ হাজার ১২১ টাকা। ১৫৮৬৭৮ নম্বর চেকে ১৮ লাখ ৮ হাজার ১৭৫ টাকা। ১৫৮৬৭৯ নম্বর চেকে ১৭ লাখ ৬৩৭ টাকা। ১৫৮৬৮১ নম্বর চেকে ১৮ লাখ ৫ হাজার ৯৯৫ টাকা। গুপ্তের কান্দা মৌজায় এলএ কেস নম্বর ০৪/১৫-১৬ এর ১৫৮৫৯৯ নম্বর চেকে ৫৫ লাখ ২৩ হাজার ২০৬ টাকাসহ আরও শত শত চেক জালিয়াতি করে প্রায় ২০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন কে এম নাসির ও তার চক্রের সদস্যরা।

উল্লিখিত সব চেকের অর্থ উত্তোলন করা ব্যক্তি হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন শিবচরের দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সুধাংশু কুমার মণ্ডল। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘নাসির কাজীর (কে এম নাসির) সঙ্গে অফিসাররা যোগাযোগ করতো। হিন্দুর সম্পত্তি হলে একজন হিন্দু, জেলের সম্পত্তি হলে একজন জেলে, সাহাদের সম্পত্তি হলে একজন সাহা লাগবে। এভাবে করে অফিসাররা আর নাসির কাজী মিলে আমার ধারণা ২০০ কোটি টাকার ওপরে উঠিয়ে নিয়েছে। আমার জানামতে নাসির কাজী কক্সবাজারে ‘সমুদ্র বাড়ি’ নামে একটি হোটেল করেছে। বর্তমানে সে আত্মগোপনে আছে।’’

জেলা প্রসাশন সূত্র জানায়, মাদারীপুর জেলার তৎকালীন ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা প্রমথ রঞ্জন ঘটক (পরিচিতি নম্বর ১৭৫১১), তৎকালীন সার্ভেয়ার মোস্তাফিজুর রহমান, রাসেল আহম্মেদ, মাঈনুল হাসান ও শিবচরের কাঁঠালাবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক তহশিলদার মাহমুদ বেপারীর যোগসাজশে বিপুল পরিমাণ সরকারি অর্থ লোপাট হয়।

বিষয়টি নজরে এলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভূমি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি দেয় মাদারীপুর জেলা প্রশাসন। এতে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। পরে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ভূমি অধিগ্রহণ শাখার তৎকালীন সার্ভেয়ার রাসেল আহম্মেদ ২৫ কোটি ৬৪ লাখ ও তৎকালীন আরেক সার্ভেয়ার মোস্তাফিজুর রহমান ৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা দালালদের মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে আত্মসাৎ করেছেন মর্মে দোষী সাব্যস্ত হন। পরে দুই সার্ভেয়ারকে বাধ্যতামূলক চাকরিচ্যুত করে ভূমি মন্ত্রণালয়। তবে মূল হোতা কে এম নাসির আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

এদিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, পরিবারসহ কানাডায় পাড়ি জমাতে কে এম নাসির দৌড়ঝাঁপ করছেন বিভিন্ন এজেন্সিতে। এসব অভিযোগের ব্যাপারে কথা বলতে কে এম নাসিরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার বাড়ি দত্তপাড়া এলাকায় গেলে তার বাবা কাজী মোজাম্মেল হক বলেন, ‘নাসিরের সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। সে কোথায় আছে, কী করে, কিছুই জানি না।’

নাসিরের খোঁজে শিবচর পৌরসভার নলগোড়ায় তার শ্বশুর জিন্নাত ফকিরের বাড়িতে গেলে কেউ তার ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি। শ্বশুরের পরিবারের সদস্যরা নাসিরের অবস্থান ও ঠিকানা সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানান।

মাদারীপুর জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যালয়ের উপপরিচালক আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা তার ব্যাপারেসহ সব একসঙ্গে তদন্ত করছি। ১৫ থেকে ২০ দিন পর আবার প্রতিবেদন দেবো। কে এম নাসিরের সম্পদের ব্যাপারে আমাদের এডি সাহেব তথ্য সংগ্রহ করেছেন। তিনি সব বলতে পারবেন।’

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মারুফুর রশিদ খান বলেন, ‘আমরা অভিযুক্ত ব্যক্তি ও দালালদের ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নিতে দুদক ও পুলিশ সুপারকে অনুরোধ করেছি। এখন ব্যাপারটি তদন্ত করে পুলিশ ও আইন আদালত ব্যবস্থা নেবে। আগে দালাল সিন্ডিকেট যেসব অনিয়ম করেছে, বর্তমানে আর তা সম্ভব নয়। দালাল চক্রের ব্যাপারে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে।’ এখন আর ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় কোনও অনিয়মের সুযোগ নেই বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *