বিএনপি হিন্দুবিরোধী সংগঠন- ভারতে গিয়ে আওয়ামী লীগ এমন প্রচার করে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের প্রতিনিধি সভা-২০২৩-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ দাবি করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এরা (আওয়ামী লীগ) একটা মার্কেটিং করে। মার্কেটিংটা হচ্ছে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে, সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক সবচেয়ে বেশি। তাদের কাছে অপপ্রচার চালায় যে বাংলাদেশে বিএনপি হচ্ছে একটা হিন্দুবিরোধী সংগঠন। এটা কি এ দেশের মানুষ বিশ্বাস করে? আপনারা বিশ্বাস করেন? আপনারা দেখেছেন কখনো?’
তিনি বলেন, ‘বরং আমরা জোর গলায় বলতে পারি, বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে, তখন অন্য সম্প্রদায়ের লোকজন নিরাপদ থাকে। তখন এ ধরনের কর্মকাণ্ড (ধর্মীয় উপাসনালয় ভাঙচুর) কম হয়।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কথায় কথায় বলে, তারা হচ্ছে এ দেশে সবচেয়ে অসাম্প্রদায়িক। তারা কতটা অসাম্প্রদায়িক, তা আপনারা জানেন। আমরা ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল দেখেছি। এ দেশে সত্যিকার অর্থে আমাদের ধর্মীয় সংখ্যালঘু যারা আছেন, তাদের বাড়িঘর, দোকানপাট, ব্যবসা-বাণিজ্য যদি দখল করে থাকে, সেটা আওয়ামী লীগের লোকেরাই সবচেয়ে বেশি করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের যে ভিশন ২০৩০ এবং যে ৩১ দফা করেছি, সেখানে সব সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি আছে। গণতন্ত্র থাকলে সেটা তো থাকবেই। আর গণতন্ত্র না থাকলে ওটাও থাকবে না। একমাত্র সুরক্ষা হচ্ছে গণতন্ত্র। এ গণতন্ত্রের লড়াই-সংগ্রামে আমাদের জয়ী হতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্র রক্ষা, ভোটের অধিকার রক্ষা- শুধু বিএনপির আন্দোলন নয়। এটা সমগ্র জাতির লড়াই। এ লড়াইয়ে জয়ী হতে হবে। এবার জয়ী হতে না পারলে বাংলাদেশ ৫০ বছরের জন্য কর্তৃত্ববাদী সরকারের কবলে পড়ে যাবে। কারও কোনো অধিকার থাকবে না।’
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সভাপতি বিজন কান্তি সরকারের সভাপতিত্বে সভা সঞ্চালনা করেন সংগঠনের মহাসচিব এস এন তরুণ দে।