মানুষের অসহায়ত্ব নিয়ে ব্যবসা

Slider বিচিত্র

দেশে প্রতিদিন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছেই। সেই সঙ্গে জনমনে বাড়ছে উৎকণ্ঠা। এক বছরে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে এ বছর। সরকারি হিসাবে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী ৮০ হাজার পেরিয়েছে। মারা গেছেন ৩৭৩ জন। প্রাণ বাঁচাতে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছুটছেন রোগীরা। আর মানুষের এমন অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে ডেঙ্গু চিকিৎসায় দরকারি ওষুধপত্র থেকে শুরু করে রোগীর প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রীর দাম কৃত্রিমভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। একই চিত্র বাজারেও। মশারি, কয়েল, স্প্রে, ইলেকট্র্রিক ব্যাটসহ মশাপ্রতিরোধী সব ধরনের সামগ্রীর দামও বেড়েছে।

এর আগে করোনার অতিমারীর সময়েও মানুষের অসহায়ত্ব নিয়ে দেদার বাণিজ্য হয়েছে। সে সময়ে জরুরি ওষুধ, অক্সিজেন সিলিন্ডার, মাস্ক ও স্যানিটাইজারসহ সব ধরনের সুরক্ষাসামগ্রীর দাম রাতারাতি বেড়ে কয়েকগুণ হয়। শুধু তাই নয়, বিপদগ্রস্ত মানুষকে কোণঠাসা করতে নিত্যপণ্যের মতো এসব পণ্যেও কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়। বর্তমানে ডেঙ্গুর নাজুক পরিস্থিতির মধ্যেও চলছে এ ধরনের অমানবিক বাণিজ্য। এতে চিকিৎসাব্যয়ে জর্জরিত অসহায় মানুষ আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালগুলোর নিকটস্থ ফার্মেসি ও পণ্যসামগ্রীর দোকানগুলোয় সবচেয়ে বেশি দাম বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে স্যালাইন, ক্যানোলা ও মাইক্রোপ্রোরের সেটের দাম বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। ৯০ টাকার স্যালাইন এখন ২০০ টাকা হয়েছে। মাত্র ৪০ টাকার ক্যানোলা কোনো কোনো দোকানে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে রোগীর পথ্য হিসেবে চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় ৮০ থেকে ১০০ টাকার ডাবও দামে রেকর্ড করেছে। বর্তমানে একটি ডাব কিনতে গুনতে হচ্ছে ১৪০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। ডাবের এতটা দাম অতীতে কখনো দেখা যায়নি।

এদিকে, ডেঙ্গু রোগীর চাপ অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালের সামনের দোকানগুলোতে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় খরচ বেড়েছে অন্য রোগীদেরও। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সামনে গত বৃহস্পতিবার পাটি ও গামলা কিনতে এসে মো. হারুন বলছিলেন, ডেঙ্গু রোগীর চাপে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে আমরা যারা ডেঙ্গু রোগী নই, তাদেরকেও এই বাড়তি দামে দরকারি জিনিসপত্র কিনতে হচ্ছে।

ডেঙ্গু আতঙ্ক বেড়ে যাওয়ায় মশার হাত থেকে রেহাই পেতে মশারি, কয়েলের মতো বিভিন্ন মশানিরোধক পণ্যের খোঁজে বাজারে ছুটছেন সাধারণ মানুষ। এতে এসব পণ্যের চাহিদাও অনেক বেড়ে

গেছে। আর বাড়তি এই চাহিদার সুযোগ নিয়ে লাগামহীন দামও বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সব মিলিয়ে ডেঙ্গু চিকিৎসা ও ডেঙ্গু সুরক্ষায় খরচ অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। মানুষের কষ্ট বাড়লেও সরকারের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মাঠপর্যায়ে তেমন কার্যকর তদারকি দেখা যাচ্ছে না।

জানা গেছে, চাহিদা অনুযায়ী একজন রোগীর ২ থেকে ৬ ব্যাগ পর্যন্ত স্যালাইনের প্রয়োজন হয়। তবে জুলাইয়ের শুরু থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করলে ডেঙ্গু রোগীদের প্রয়োজনীয় সাধারণ স্যালাইনের সংকট দেখা দেয়। শুরুতে সরকারি হাসপাতালে এই ঘাটতি দেখা দিলেও পর্যায়ক্রমে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও এর প্রভাব পড়ে।

গত মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে রাজধানীর মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগীর চাপ অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। রোগীর অতিরিক্ত চাপের কারণে ভর্তির শুরুতে একটি স্যালাইন দিলেও বাকিগুলো রোগীদের বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে ক্যানোলাও কিনতে হচ্ছে তাদের।

পাঁচ দিন ধরে এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মাদারীপুর থেকে আসা রিয়াজুল ইসলাম (২৬)। এ পর্যন্ত তার চার ব্যাগ স্যালাইন লেগেছে। প্রথম দিনে হাসপাতাল থেকে এক ব্যাগ মিললেও বাকি তিন ব্যাগ স্যালাইন তাকে কিনতে হয়েছে বাইরে থেকে।

তিনি বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে সবকিছু বিনামূল্যে পাওয়ার কথা থাকলেও স্যালাইন এমনকি কখনো কখনো ক্যানোলাও বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। নার্সরা বলছেন, পর্যাপ্ত নেই। বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে অতিরিক্ত দাম দিয়েই কিনতে হচ্ছে। স্যালাইনের গায়ে ৯০ টাকা লেখা থাকলেও ফার্মেসি থেকে ১৭০ টাকা দিয়ে কিনেছি। কেউ কেউ তো ২০০ টাকাও দাম চাইছে।’

এখানকার দায়িত্বরত একজন নার্স জানান, ‘জুনের শেষদিক থেকে এই সংকট চলছে। রোগী অনেক, স্যালাইনের সরবরাহ কম। না থাকলে দেব কীভাবে?’

হাসপাতালের কাছেই বেশ কয়েকটি ওষুধের দোকান। এসব দোকানে এক ব্যাগ সাধারণ স্যালাইন ১২০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এখানকার একজন বিক্রেতা বলেন, ‘একাধিক কোম্পানি স্যালাইন দিতে সমস্যা করছে। তারা বলছে সরবরাহ কম। অন্যদিকে আমাদের পাশের দোকানসহ আশপাশের অনেক দোকান মজুদ করে রেখেছে। তারা বেশি দামে রাতে বিক্রি করে।’

পান্থপথের গ্রিন রোডে স্যালাইনের জন্য ব্যবস্থাপত্র নিয়ে দোকান থেকে দোকানে ঘুরেও স্যালাইন পাচ্ছিলেন না ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, ‘চার দিন ধরে ডেঙ্গুতে ভুগছেন স্ত্রী। ডাক্তার জানিয়েছেন স্যালাইন দিলেই ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু দোকানে এসে দেখি স্যালাইনের সংকট।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতির পরিচালক জাকির হোসেন রনি আমাদের সময়কে বলেন, ডেঙ্গু এবং কলেরার কারণে চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন কম হলেও দাম বাড়েনি। তবে ইতোমধ্যে লিবরা কোম্পানি দাম বাড়াতে আবেদন করেছে। তার আগেই খুচরা পর্যায়ে ৯০ টাকার স্যালাইন ১২০ থেকে ২০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গুর মতো নাজুক পরিস্থিতিতে ঘাটতি যাতে দেখা না দেয়, সে জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উচিত ছিল কোম্পনিগুলোকে আগে থেকেই নির্দেশনা দিয়ে রাখা।

বেসরকারি হাসপাতালগুলোকেও স্যালাইনের জোগান দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ল্যাবএইড হাসপাতালের ইনচার্জ মো. ইফতেখার বলেন, স্যালাইনের সংকটে আমাদেরকেও ভুগতে হচ্ছে। এ সমস্যা গত মাসের মাঝামাঝি থেকে চলছে। বর্তমানে সরবরাহ বাড়লেও স্বাভাবিক অবস্থায় আসেনি।

এমতাবস্থায়, গত সপ্তাহে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। সরকারি এ সংস্থাটির উপপরিচালক মো. নূরুল আলম আমাদের সময়কে বলেন, ‘স্যালাইন থেকে শুরু করে কোনো ওষুধের দাম আমরা বাড়াইনি। খুচরা পর্যায়ে কেউ বেশি নিলে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে স্যালাইনের কিছুটা সংকট রয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বসেছি। বর্তমানে দৈনিক এক লাখ স্যালাইন উৎপাদন হচ্ছে। তবে সংকট যাতে তীব্র না হয়, সে জন্য কোম্পানিগুলোকে সমন্বয় করে সরবরাহ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

শুধু স্যালাইন নয়, ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে ক্যানোলার দামও ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা হয়েছে। মাইক্রোপোর (ক্যানোলা লাগাতে ব্যবহৃত বিশেষ টেপ) দামও প্রতি সেটে ২০০ টাকা বেড়ে ৮০০ টাকা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে ব্যবসায়ীদের মধ্যে অল্প সময়ে অতিমুনাফা করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এরা মানুষের অসুস্থতার সুযোগ নিতেও পিছপা হচ্ছেন না। অতিরিক্ত মুনাফা করতে মরিয়া হয়ে উঠছেন তারা। এমনকি নিজেদের মধ্যে সিন্ডিকেট গড়ে তুলছেন তারা।

জনস্বাস্থ্যবিদ ড. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা সব সময় এমন নাজুক পরিস্থিতিরই অপেক্ষায় থাকে। এর আগেও করোনাকালে একই চিত্র দেখা গেছে। কিন্তু দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা না হওয়ায় বারবার এর পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। শাস্তির অভাবে অপরাধীর অপরাধপ্রবণতা আরও বাড়ছে। এমনকি যারা ব্যবস্থা নেবে, তাদেরকেই হাতে রাখছে সিন্ডিকেট চক্রগুলো। ফলে এ অবস্থা থেকে মুক্তি মিলছে না।

তিনি আরও বলেন, মশারি থেকে শুরু করে সামান্য ডাবের দামেও আগুন। এসব পণ্যের বাজারেও সরকারের নজরদারি থাকা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

পীর ইয়ামেনী মার্কেটসহ রাজধানীর গুলিস্তানের কয়েকটি মশারির পাইকারি বাজারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মশার উৎপাত থেকে রক্ষা পেতে সারাবছরই মশারির চাহিদা থাকে। তবে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ায় গত এক মাসের ব্যবধানে চাহিদা অনেক বেড়েছে। তারা বলছেন, দাম সেভাবে বাড়েনি। অথচ খুচরা বাজারের চিত্র ভিন্ন। সেখানে ইচ্ছেমতো দামে বিক্রি হচ্ছে মশারি।

পাইকারি বাজারে পাঁচ ফুট বাই ছয় ফুটের ডাবল মশারি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। তিন ফুট বাই ছয় ফুটের সিঙ্গেল মশারি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা এবং বহুল বিক্রি হওয়া ম্যাজিক মশারি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। এসব মশারিই খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন দামে। ক্ষেত্রবিশেষে পাইকারির দেড়গুণ দামেও বিক্রি করছেন অনেক বিক্রেতা।

গুলিস্তানের খুচরা বিক্রেতা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, চাহিদা বাড়ায় দামও বেড়েছে। আগের চেয়ে দাম ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি এখন।

অপরদিকে মশা মারতে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠা ইলেকট্র্রিক ব্যাটের দামও বেড়েছে। প্রতিটা ব্যাটের দাম পড়ছে ৫০০-৬০০ টাকা। অথচ আগে এগুলো ৪০০-৪৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া গেছে। তার ওপর নকল পণ্যে সয়লাব বাজার। সেগুলোও বিক্রি হচ্ছে আসলের দামে।

মশা মারার ভেপোরাইজিং মেশিনসহ অন্যান্য ইলেকট্র্রনিক পণ্যের দামও আগের চেয়ে বাড়তি রয়েছে। ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ায় বাসা কিংবা অফিসে সবাই এখন মশা নিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত। বিশেষ করে স্কুলগামী সন্তানদের নিয়ে অভিভাবকরা বেশি আতঙ্কগ্রস্ত। তাই সাবধানতা অবলম্বনে অনেকেই ব্যবহার করছেন মশানিরোধক বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ক্রিম ও লোশন। জানা গেছে, এসব পণ্য কিনতেও আগের চেয়ে বেশি খরচ করতে হচ্ছে।

উন্নত এলাকাগুলোয় মশা মারার স্প্রে ও বৈদ্যুতিক কয়েলের ব্যবহার বেশি হলেও যেসব এলাকা স্যাঁতসেঁতে- সেখানে এবং নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতে কয়েলের চাহিদাই সবচেয়ে বেশি। বাজারে দেশি-বিদেশি অর্ধশতাধিক ব্র্যান্ড ও নন-ব্র্যান্ডের মশার কয়েল পাওয়া যাচ্ছে। এর সঙ্গে নকল ও নিম্নমানের কয়েলের দামও বেড়েছে।

রাজধানীর চকবাজারে কয়েলের পাইকারি বাজারে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের যে কয়েলের প্যাকেট ৪০ থেকে ৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, খুচরায় তা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত। এর বাইরেও বিভিন্ন প্রকার বুস্টার ও বিদেশি কয়েল পাওয়া যাচ্ছে, যেগুলোর গায়ে কোনো মূল্য লেখা নেই। এগুলো বিক্রি হচ্ছে বিক্রেতার মর্জিমাফিক।

এদিকে, বৈদ্যুতিক কয়েলের দাম সেভাবে না বাড়লেও, স্প্রের দাম বাড়তি রয়েছে বলে জানান খুচরা বিক্রেতারা। ২৫০ গ্রাম থেকে শুরু করে ৮০০ গ্রাম পর্যন্ত মশার স্প্রে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত।

ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন বলেন, করোনার সময়ও দেখেছি মানুষকে জিম্মি করে বিভিন্ন জরুরি সুরক্ষাপণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি ও দাম বাড়ানো হয়েছিল। বর্তমানে ডেঙ্গু বিস্তার লাভ করায় মশা মারার উপকরণের সংকট না থাকা সত্ত্বেও দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। এমনটা হওয়া অমানবিক। এতে মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা মানুষের কষ্ট আরও বেড়ে যাচ্ছে।

দামি হওয়ায় মশা মারার আধুনিক উপকরণগুলো এমনিতেই সহজলভ্য নয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সাধ্যের মধ্যে পাওয়ায় বেশিরভাগ মানুষ মশা থেকে বাঁচতে কয়েলকে বেছে নেয়। কিন্তু বেশিরভাগ কয়েলে যেসব রাসায়নিক ব্যবহার হচ্ছে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। বর্তমানে ক্ষতিকারক উপাদানে তৈরি নিম্নমানের কয়েলে বাজার সয়লাব। বিএসটিআই মাঝে মধ্যে অভিযান পরিচালনা করলেও বাজারে এখনো ধুমছে বিক্রি হচ্ছে। এসব কয়েল উৎপাদন, বিপণন ও বিক্রি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *