ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ওরশে এসে রেলসেতু পারাপারের সময় ট্রেনের ধাক্কায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আখাউড়া-সিলেট বাইপাস রেলপথের খড়মপুর কল্লা শহীদ মাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে শুকুর মিয়া (৬০) ও মো. মোজাম্মেলের নাম জানা গেছে। শুকুর মিয়া নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার দোয়ারি গ্রামের বাসিন্দা ও মোজাম্মেলের বাড়িও নরসিংদীতে। নিহত বাকি দুইজের নাম জানা যায়নি।
আখাউড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার মো. মুনিম সারোয়ার জানান, ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দুইজনের মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে গতকাল রাতে কয়েকশ ভক্ত খড়মপুর মাজারের দিকে যাচ্ছিল। ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন আসার সময় হলে দুই পাশ থেকে পুলিশ হুইসেল বাজিয়ে ট্রেন আসার সংকেত দেয়। সবাই রেললাইন থেকে নেমে পড়লেও ওই চার ব্যক্তি ঝুঁকি নিয়ে রেলসেতু পারাপার হতে যাচ্ছিলেন। তখন ট্রেনের ধাক্কায় সেতু থেকে নদীতে ছিটকে পড়ে তারা মারা যান।
তিনি বলেন, আখাউড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বৃহস্পতিবার দুজনের মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করে। আজ সকালে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে ঘটনায় অনন্ত ১৫ জন আহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে আখাউড়া খড়মপুর শাহ সৈয়দ আহাম্মদ গেছুদারাজ ওরফে কল্লা শহীদ মাজার শরীফের সপ্তাহব্যাপী বার্ষিক ওরশ শুরু হয়েছে। ৭ দিনব্যাপী ওরশ চলবে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত।