গাজীপুরের টঙ্গী রেলওয়ে জংশনে ঢাকাগামী কর্ণফুলী কমিউটার ট্রেনে ছিনতাই ও হামলার ঘটনায় নয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) অভিযান চালিয়ে টঙ্গী রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
শুক্রবার বেলা ১১টায় আটকের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কমলাপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস।
আটককৃতরা হলেন- মেহেদী হাসান জয় (২৬), মো. রনি (৩৫), রবিউল হাসান (৪০), মো. স্বাধীন (৩০), মো. সাইফুল ইসলাম জাকির (২৫), মো. মাসুদ (২৭), মো. নাসির (২০), মো. নয়ন হাসান (২৮) ও মো. আশিক (২২)।
ওসি ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস জানান, রাত সাড়ে ১০টায় টঙ্গী রেলওয়ে জংশনের আউটার সিগনালে (আকিজ বেকার্সের পেছনে) চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কর্ণফুলী কমিউটার ট্রেনে ছিনতাই ও হামলার ঘটনা ঘটে। এতে টিটিইসহ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়। ট্রেনের যাত্রীদের উপর হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনার পরপরই রেলওয়ে পুলিশ ও টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ টঙ্গীর রেলস্টেশনের আশপাশে অভিযান চালায়। এ সময় নয়জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে একটি চাইনিজ কুড়াল, ২টি সুইস গিয়ার চাকু ও ছিনতাই হওয়া কয়েকটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
টঙ্গী রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ ছোটন শর্মা বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনায় রাতভর টঙ্গীর কেরানিরটেক বস্তি, তিস্তার গেট, ব্যাংকের মাঠ বস্তিসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নয়জনকে আটক করে রেলওয়ে পুলিশ। আটকদের ঢাকার কমলাপুর থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, গতকাল চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কর্ণফুলী কমিউটার ট্রেনটি টঙ্গী স্টেশনে প্রবেশ করার সময় গতি কমে যায়। ঠিক সে সময় হঠাৎ ট্রেনটিকে লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা ঢিল ছুড়তে থাকে। এ সময় আতঙ্কিত যাত্রীরা আত্মরক্ষার্থে ছুটাছুটি শুরু করেন। কেউ কেউ ট্রেনের মেঝেতে শুয়ে পড়েন। এতে পাথরের আঘাতে বেশ কয়েকজন আহতও হন। এ সময় ট্রেনের এক স্টুয়ার্ডকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বৃহস্পতিবার রাতে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রেনের ভেতর আতঙ্কগ্রস্ত যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে ছুটাছুটি করছেন। এ সময় বাহির থেকে পাথর নিক্ষেপের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। আতঙ্কিত যাত্রী ও শিশুদের কান্না করতে দেখা যায়।
ওসি আরও জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।