#
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের পদ্মার শাখা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ আরেক শিশু মাহিরের (৫) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এক পর্যন্ত নয়জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে, নিখোঁজ রয়েছে আরো এক শিশু।
সোমবার (৭ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে ২০০ মিটার দূরে শিশুটির লাশ ভেসে উঠলে সেটি ফায়ার সার্ভিস ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউউটিএ) উদ্ধার করে।
এর আগে সোমবার সকালে ৭টার দিকে নিখোঁজ তোরানের (৭) লাশ উদ্ধার করা হয়। দুর্ঘটনায় এখন নাভা (৪) নামে আরেক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। তোরান ও নাভা আপন ভাইবোন। তারা সিরাজদিখান উপজেলার কয়রাখোলা গ্রামের সিঙ্গাপুর-প্রবাসী আরিফ খানের সন্তান। আর মাহির খিদিরপুর গ্রামের রুবেল হোসেনের ছেলে।
লৌহজং ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার কয়েস আহমেদ বলেন, ‘নিখোঁজদের সন্ধানে নদীতে অভিযান চলাকালে মাহিরের ভাসমান লাশ দেখতে পাই। দুর্ঘটনাস্থলের ২০০ মিটার ভাটি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে সকালে সুবচনী বাজার এলাকা থেকে তোরানের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। এখনো নাভা নামে এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। তাকে উদ্ধারে অভিযান চলছে।’
শনিবার (৫ আগস্ট) সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের খিদিরপুর থেকে ট্রলারে করে নৌ-ভ্রমণে বের হয় স্থানীয় ৪৬ জন। পদ্মা সেতু ও আশপাশের এলাকা ঘুরে ফেরার সময় রাত ৮টার দিকে পদ্মার শাখা নদীর লৌহজং উপজেলার রসকাটি এলাকায় পৌঁছালে বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যায় ট্রলারটি। দুর্ঘটনার পর রাতেই সাতজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন সিরাজদিখানের লতব্দী ইউনিয়নের খিদিরপুর এলাকার জাহাঙ্গীরের স্ত্রী এপি বেগম (২৮) ও তার দুই ছেলে সাকিবুল (১০) ও সাজিবুল (৭), একই এলাকার ফিরোজ সরকারের ছেলে ফারিয়ান (৮), শাহাদাত হোসেনের পাঁচ মাসের মেয়ে হুমায়রা, শাহজাহানের স্ত্রী মোকসেদা বেগম (৩৮) ও আব্দুল হাকিমের মেয়ে পপি (৩০)। ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা বাল্কহেডটি জব্দ করে।