পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে তোশাখানা মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার ইসলামাবাদের জেলা ও দায়রা আদালত ইমরানকে এ সাজা দিয়েছেন।
জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ রায়ের কিছুক্ষণ পরেই পিটিআই চেয়ারম্যানকে লাহোরে জামান পার্ক বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইমরান খানের এ সাজার নিন্দা জানিয়েছে তার দল পিটিআই।
ইমরান খানের এ সাজা ঘিরে দেশটিতে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে নতুন শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের (এসসি) নামী আইনজীবী জুলফিকার আহমেদ ভুট্ট বলেছেন, ইমরান খান এবার পিটিআই-এর চেয়ারম্যান পদও হারাতে পারেন।
তিনি বলেছেন, পিএলডি ৩৬৬/২০১৮-এ সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের আলোকে পিটিআই চেয়ারম্যান হিসেবে ইমরান খানের অবস্থান স্বয়ংক্রিয়ভাবে শেষ হয়েছে।
এর আগে গতকাল রায়ের পর দেশটির আইন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আসন্ন নির্বাচনে ইমরান খানের অংশগ্রহণ করার সুযোগ নাও থাকতে পারে।
ইমরানের দলের একজন মুখপাত্র বলেছেন, পিটিআই-এর ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির নেতৃত্বে এখন দল পরিচালিত হবে। এদিকে ইমরানের গ্রেপ্তার ঘিরে দেশটিতে বিক্ষিপ্ত বিক্ষোভের সংবাদ পাওয়া গেছে।
এআরআই নিউজ বলছে, এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১৯ জন পিটিআই সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে করাচি পুলিশ বলছে, ইমরানের গ্রেপ্তার ঘিরে প্রতিবাদ করায় করাচিজুড়ে ১৯ জন পিটিআই সমর্থক ও কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে গ্রেপ্তারের পূর্বে ইমরানের রেকর্ড করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে তিনি তার সমর্থকদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ভিডিও রেকর্ডে ইমরান বলেন, ‘আমি এই ভিডিও বার্তা আমাকে গ্রেপ্তারের পূর্বেই রেকর্ড করেছি। আমাকে গ্রেপ্তার করা হবে এটা প্রত্যাশিতই ছিল। আমি চাই আমার দলের কর্মীরা শান্তিপূর্ণ, অবিচল ও শক্তিশালী থাকুক।’