রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

Slider সাহিত্য ও সাংস্কৃতি


আজ বাইশে শ্রাবণ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮২তম মৃত্যুবার্ষিকী। বহু প্রতিভার অধিকারী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১২৬৮ বাংলা ২৫ বৈশাখ (ইংরেজি ১৮৬১ সালের ৭ মে) পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মা সারদাসুন্দরী দেবী। বাংলা ১৩৪৮ সালে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে শ্রাবণের বাদল ঝরা এ দিনে মারা যান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

রবী ঠাকুরের হাত ধরে বাংলা সাহিত্য নতুন রূপ লাভ করে। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে তার রয়েছে অসামান্য অবদান। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একাধারে কবি, নাট্যকার, কথাশিল্পী, চিত্রশিল্পী, অভিনেতা, গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক, ছোটগল্পকার ও ভাষাবিদ। এই কবি বিশ্বাস করতেন বিশ্বমানবতায়। জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেই দর্শনই অন্বেষণ করেছেন। ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতটির মাধ্যমে রবিঠাকুর বাঙালিকে শিকড়ের দিকে ও স্বকীয়তার দিকে ধাবিত করেছেন স্বমহিমায়; যে কারণে রবীন্দ্রনাথের প্রতি বাঙালির ঋণ অনেক বেশি।

জীবন সাধনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার জন্ম ও মৃত্যুকে একাকার করে তুলেছিলেন অজস্র অমরতার শাশ্বত বার্তায়। প্রথম এশীয় হিসেবে ১৯১৩ সালে ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। আর এরই মাধ্যমে তিনি বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বের দরবারে বিশেষ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করে গেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *