বেশ কিছুদিন ধরে চাল, ডাল, আটা, ময়দা, চিনিসহ বেশির ভাগ পণ্যই উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে স্থিতিশীল ছিল মাছ-গোশত ও ডিমের দাম। ঈদের পর থেকেই বাড়তে শুরু করেছে এসব পণ্যের। দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। ডিমের দাম বেড়েছে ডজনে ৫ টাকা। বাজারভেদে গরুর গোশতের দামও বেড়েছে। সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে মাছের দাম।
রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে গত এক সপ্তাহে আরেক দফা বেড়েছে মুরগি ও ডিমের দাম। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ১৭৫ থেকে ১৮৫ টাকা কেজি। এই সপ্তাহে দরদাম করে সেই ব্রয়লার মুরগি কিনতে হচ্ছে ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকায়। ব্রয়লারের সাথে বেড়েছে সোনালি মুরগির দামও। গত সপ্তাহে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা কেজির সোনালি মুরগি এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায়। বাজারভেদে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। খাসির মাংসও ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে মুরগির দাম বেশি তাই খুচরায় দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে দাম কম ছিল তাই ১৮০ টাকা কেজিতে ব্রয়লার বিক্রি করেছিলাম শুক্রবার আবার দাম বেশি হওয়ায় খুচরা বিক্রিতেও দাম বেড়েছে।
সবজির বাজারঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কচুর লতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কচুর মুখী ৮০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাজর (দেশী) ৮০ থেকে ৯০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ধুন্দুল-চিচিংগা ৫০ টাকা, আলু ৪০ টাকা কেজিতে। জালি ৪০ টাকা পিস, লাউ ৪০ থেকে ৬০ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে। প্রতি ডজনে ৫ টাকা বেড়ে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।
মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, পাঙ্গাশ মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, চাষের কই ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, শিং মাছ (ছোট) প্রতি কেজি ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকা, গুঁড়া মাছ (কাচকি) ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, ট্যাংরা ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, রুই মাছ প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, সিলভার কার্প (ছোট) ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, বড় কাতল প্রতি কেজি ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এখন ইলিশের ভরা মৌসুম হলেও দাম বেশ চড়া। তবে গত সপ্তাহে ৫০০ গ্রাম ইলিশ ৯০০ টাকায় পাওয়া গেলেও গতকাল তা হাজার থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি যাচ্ছে। মাছের খাবারের দাম বাড়ার পর থেকে মাছের দামও বেড়েছে। এ ছাড়া পরিবহন খরচও এখন বাড়তি। সব মিলিয়ে পাইকারি আড়ত থেকেই আমাদের আগের চেয়ে বাড়তি দামে মাছ কিনতে হচ্ছে। যার প্রভাব খুচরা বাজারগুলোতেও পড়েছে।