বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে এবার প্রেস নোট দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন। বাংলাদেশে অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে সব রাজনৈতিক দল, তাদের সমর্থক ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই আহ্বান জানানো হয়।
আজ শুক্রবার সংস্থাটির মানবাধিকারবিষয়ক হাই কমিশনারের কার্যালয় থেকে এ প্রেস নোটটি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রেস নোটে বলা হয়েছে, পুলিশের অতিরিক্ত বল প্রয়োগের বিষয়টির অবশ্যই দ্রুত তদন্ত করতে হবে এবং দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
ব্রিফিংয়ে মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স বলেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিরোধী দলগুলোর বেশ কয়েকটি সমাবেশে সহিংস হামলা দেখা গেছে। যেখানে সমাবেশগুলোতে পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের শেল এবং জলকামান ব্যবহার করেছে। পুলিশের পাশাপাশি কিছু সাধারণ পোশাকধারীদেরও বিক্ষোভকারীদের মারতে হাতুড়ি, লাঠি, ব্যাট এবং লোহার রড ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
ব্রিফিংয়ের প্রেস নোটে বলা হয়, এসব সংঘর্ষে অনেক বিরোধী দলীয় সমর্থক ও কিছু পুলিশ আহত হয়েছেন। বিরোধীদলের সিনিয়র নেতাদের প্রকাশ্য দিবালোকে মারধর করা হয়েছে। আবার আইন-প্রয়োগকারী সংগঠনের সদস্য পরিচয়ে তাদের বাড়িতে অভিযানও চালানো হয়েছে। এসব সমাবেশের আগে ও সমাবেশের সময় বিরোধী দলের শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই মানবাধিকারের প্রতি তাদের বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে এবং জনগণের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। তৃতীয় কোনো পক্ষ যাতে এসব অধিকার চর্চার প্রচেষ্টাকে দমিয়ে দিতে না পারে, সেটিও নিশ্চিত করতে হবে।
আমরা পুলিশের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে, তারা যেন শুধুমাত্র যেখানে অত্যন্ত প্রয়োজন সেখানেই বল প্রয়োগ করেন। আর সেক্ষেত্রেও এই বল প্রয়োগ হতে হবে বৈধ, সংযমের সঙ্গে এবং সংশ্লিষ্ট নীতি অনুসারে।