বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে চরম ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে। ভয়াবহ মুদ্রাস্ফিতিতে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা নাগালে বাইরে চলে গেছে।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে অসত্য ও বানোয়াট মামলায় বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বানিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদ আদালতে হাজিরা দিয়ে বাসায় ফেরার পথে যাত্রাবাড়ী থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট ও কতৃর্ত্ববাদী শাসকগোষ্ঠী দেশে ভয়াবহ দুঃশাসন জারি রেখেছে। দেশ এখন ফ্যাসিবাদের কবলে পড়েছে বলেই কোনো মানুষ স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করতে পারছে না। জোরপূর্বক গুম, খুন, অপহরণ এবং গায়েবি মামলার শিকার হয়ে কারাগারে যেতে হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ দুপুরে আদালতে হাজিরা দিয়ে বাসায় ফেরার পথে যাত্রাবাড়ী থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কতৃর্ক আটক হয়েছেন বিএনপি’র বানিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদ। দমন-পীড়ণ চালিয়ে জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ এবং বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর ক্রমাগত জুলুম-নির্যাতনের ফলে দেশে চরম ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে। ভয়াবহ মুদ্রাস্ফিতিতে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা নাগালে বাইরে চলে গেছে।
তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের দাম প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে। এসব ব্যর্থতা আড়াল করতেই বিএনপিসহ বিরোধী দলের ওপর নামিয়ে আনা হয়েছে পৈশাচিক নিপীড়ণ নির্যাতন। মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের জেলে রাখতেই সরকার সবচেয়ে বেশি আগ্রহী বলে মনে হয়। তবে তাদের মনে রাখা উচিৎ বেপরোয়া জুলুম চালিয়ে কখনোই গণতন্ত্রকামী মানুষকে দমিয়ে রাখা যাবে না। অবৈধ আওয়ামী সরকারকে পদত্যাগ করে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পূণপ্রতিষ্ঠা করতে জনগণ আজ দৃঢ়ভাবে সংকল্পবদ্ধ। তবে আওয়ামী অপশাসন ও জুলুম থেকে রেহাই পেতে জনগণ এখন রাস্তায় নামতে শুরু করেছে, দুঃশাসনে পতন হবেই।’
বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আটক করা সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং অবিলম্বে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।