বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে আদালতের দেওয়া রায়ের প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে দলটি। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিক্ষোভ মিছিল করেন বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বিক্ষোভ মিছিলে নেতাকর্মীরা তারেক-জোবায়দাকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তারা এ রায় প্রত্যাখ্যান করেন।
বিক্ষোভ মিছিলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, দলের স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, কেন্দ্রীয় নেতা মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, নাজিম উদ্দিন আলম, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছর ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানকে ৩ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
একই সঙ্গে আদালত তারেক রহমানের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ২ কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭ টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তারেককে ৩ কোটি টাকা ও জোবায়দাকে ৩৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৭ জুলাই মামলাটির যুক্তিতর্কে শুনানি শেষে রায়ের এ তারিখ ঠিক করেন একই আদালত। মামলার আসামি তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমান বিদেশে অবস্থান করছেন। তারা বিচারের মুখোমুখি না হওয়ায় তাদের পক্ষে আইনজীবীরা আইনি লড়াই করতে পারেননি।