অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিষয়ে আজ বুধবার রায় দেবেন আদালত। ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করবেন। মামলার শুনানি শেষে গত ২৭ জুলাই একই আদালত রায়ের দিন ধার্য করেন। মামলার আসামি তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমান বিদেশে অবস্থান করছেন। তারা বিচারের মুখোমুখি না হওয়ায় তাদের হয়ে আইনজীবীরা এ মামলায় লড়তে পারেননি। দুর্নীতি দমন
কমিশনের (দুদক) করা এ মামলায় গত ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এর পর থেকে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা এ বিচারকে ‘প্রহসন’ বলে দাবি করে আসছেন। বিচার ঠেকাতে তারা আদালত অঙ্গনে মামলার প্রত্যেক ধার্য তারিখে বিচারের বিরুদ্ধে মিছিল-সমাবেশ করেন। এমনকি সংশ্লিষ্ট আদালতের মধ্যেও একাধিক দিন তারা আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন।
মামলার বিচার সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, ‘আদালত তাদের (তারেক রহমান ও জোবায়য়া রহমান) খালাসও দিতে পারেন। তাই রায়ের আগে মন্তব্য করতে চাই না।’
তবে বিএনপিপন্থি আরেক আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘তারেক রহমান সরকারের নির্বাহী আদেশে দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য যান। সঙ্গে যান স্ত্রী জোবায়দা রহমানও। তাদের মামলায় পলাতক দেখানো হয়েছে। এ কারণে আমরা তাদের পক্ষে ডিপেন্ড করার সুযোগ পাইনি। তবে আমরা দেখেছি, ১৯৮২ সালের ঘটনা নিয়ে এ মামলা। মামলার অভিযোগ মিথ্য; এক টাকাও কেউ তছরুপ করেননি। মামলায় জোবায়দা রহমানের মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু আসামি ছিলেন। তাকে সুপ্রিমকোর্ট খালাস দিয়েছেন। তারেক রহমানের জনপ্রিয়তার কারণে রাজনৈতিকভাবে তড়িঘড়ি করে মামলার রায় দেওয়ার প্ল্যান করছে সরকার। আমরা এখানে ন্যায়বিচার আশা করি না।’
এ মামলার দুদকের আইনজীবী হিসেবে আছেন মোশাররফ হোসেন কাজল। তিনি বলেন, ‘তদন্তে ২ কোটি ২৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ উপার্জন এবং ৫৮ লাখ টাকার তথ্য গোপনের অভিযাগ পাওয়া গেছে। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আমরা তাদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছি বলে মনে করি।’
তিনি বলেন, সম্পদের তথ্য গোপনের জন্য সর্বোচ্চ সাজা তিন বছর এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সর্বোচ্চ সাজা ১০ বছর সাজার বিধান রয়েছে। আশা করছি, তাদের সর্বোচ্চ সাজাই হবে।
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল হয় ২০০৮ সালে।