রাজধানীর ধোলাইখালে অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশের হামলায় আহত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে আজ রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে গয়েশ্বরের ব্যক্তিগত অফিসে যান তিনি।
সেখানে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা অবস্থান করেন বিএনপি মহাসচিব। তবে এ সময় এই দুই নেতার মধ্যে কী কথা হয়েছে তা জানা যায়নি।
এর আগে ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে বিএনপি ও তাদের যুগপৎ আন্দোলনের দলগুলোর অবস্থান কর্মসূচিতে গতকাল শনিবার পুলিশের মারধরের শিকার হন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। একপর্যায়ে তিনি মাটিতে পড়ে গেলে সেখানেও তাকে পেটানো হয়। সেখান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে আটক করে চিকিৎসার জন্য রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে নেয় পুলিশ।
পরে সেখান থেকে তাকে গাড়িতে করে রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে বিকেলের আগেই তাকে নয়াপল্টনে অবস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রেখে যায় ডিবি।
আরও পড়ুন: ধোলাইখালে সংঘর্ষ: সালাম-নিপুণসহ বিএনপির ৪২৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
ছাড়া পেয়ে পুলিশের পিটুনির বিষয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমার মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়ে পড়েছি। পরে কোমর থেকে নিচ পর্যন্ত বেধড়ক পিটিয়েছে। সেখান থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে রাজারবাগের পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়েও নেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে অফিসে দিয়ে গেল।’
শারীরিক অবস্থা এখন কেমন জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ইনজুরি হওয়ার পর সুস্থ হতে সময় লাগবে।’
এদিকে ছাড়া পাওয়ার আগে ডিএমপির ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিতে দেখা যায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে। সেখানে নানা পদের খাবার খেতে দেখা যায় বিএনপির এ নেতাকে।
এ প্রসঙ্গে ডিবির হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমরা ভিআইপি রাজনীতিবিদদের যে মর্যাদা, সেটা তাদের দিয়ে থাকি। গয়েশ্বর রায়কেও ধোলাইখাল থেকে সেভ করে ডিবি কার্যালয়ে এনেছি। তাকে দুপুরে আপ্যায়ন করানো হয়েছে। তারপর পুলিশের গাড়ি দিয়ে তাকে কার্যালয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’
‘আপ্যায়নের এই ছবিই প্রমাণ করে ডিবিতে কখনো নির্যাতন করা হয় না’, যোগ করেন ডিবির হারুন।