বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও দলের ঢাকা উত্তর কমিটির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের জন্য খাবার, ফল ও জুস পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার দুপুরে হাসপাতালে এসব খাবার নিয়ে যান প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান (লিকু)।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এ বিষয়ে কথা বলেন আহত আমানউল্লাহ আমান। তিনি বলেন, ‘এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আজ অবস্থান কর্মসূচি ছিল। সে কর্মসূচিতে আমি অংশগ্রহণ করতে গিয়ে গাবতলিতে পুলিশের আক্রমণে মারাত্মক আহত হই। আহত অবস্থায় আমাকে টেনে-হিঁচড়ে মাটিতে ফেলে আঘাত করা হয়। একপর্যায়ে আমাকে টেনে-হিঁচড়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আহত অবস্থায় আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘হাসপাতালে আমি যখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলাম, আমাকে ওষুধ খাওয়ে ঘুমিয়ে রাখা হয়েছিল। ঘুমের মধ্যে কে বা কাহারা এসে ফলের ঝুড়ি দিয়ে একটি নাটক সাজিয়েছে। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দল এবং দেশবাসীর কাছে আমার অতীতের গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস আন্দোলনের এবং বর্তমানে এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলনরত রাজপথে আমি যে ভূমিকা রেখে যাচ্ছি, তার পিঠে ছুরিকাঘাত করার জন্যই এই নাটক সাজানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে এক দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত, এই সরকার পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত, সংসদ না ভাঙা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। এই আন্দোলনে আমি আছি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। আপনারা কোনো ষড়যন্ত্রে ও গুজবে কান দেবেন না। আমি জিয়াউর রহমানের সৈনিক, আমি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্নেহভাজন সৈনিক, আমি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার রাজপথের ফয়সালা হওয়ার সৈনিক। জিয়াউর রহমানের রাজপথের সৈনিক হিসেবে আমি কাজ করে যাচ্ছি এবং কাজ করে যাব। রাজপথে ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত, এক দফা দাবি পূরণ না হওয়ার পর্যন্ত রাজপথে আছি রাজপথে থাকব ইনশাল্লাহ। আমার জন্য আপনারা দোয়া করবেন।’
প্রসঙ্গত, গাবতলীতে অবস্থান কর্মসূচি থেকে আটকের পর পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল আমানউল্লাহ আমানকে। পরে সেখান থেকে তিনি ছাড়া পেয়েছেন। তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার সহকারী।