ঢাকায় দুই দলের সমাবেশ ঘিরে কোনো ধরনের নৈরাজ্য ঠেকাতে রাজধানীর প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছে পুলিশ। এ সময় সন্দেহভাজন হিসেবে অর্ধ শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার ভোরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার এলাকায় গিয়ে পুলিশের নিয়মিত অস্থায়ী চেকপোস্টে তল্লাশি কার্যক্রম দেখা যায়। এ সময় আমিনবাজার ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সামনে বেরিকেড বসিয়ে অস্থায়ী চেকপোস্টে পুলিশ বিভিন্ন পরিবহনে তল্লাশি চালায়। এ সময় পুলিশ সদস্যরা ঢাকাগামী লেনে সন্দেহভাজন পরিবহন থামিয়ে তল্লাশি করছেন। বাসে যাত্রীদের ব্যাগ এবং ব্যক্তিগত গাড়ির ভেতরে তল্লাশি করতেও দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের। আটক করা হয়েছে প্রায় অর্ধ শতাধিক ব্যক্তিকে।
জানা গেছে, সন্দেহজনক কিছু না পেলে তল্লাশির আওতায় যারা আসছেন, তাদের ছেড়ে দিচ্ছে পুলিশ। যাদের সন্দেহ হচ্ছে, তাদের আটকে রাখা হচ্ছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তল্লাশি কার্যক্রমের সময় যাদের কথাবার্তা এবং চালচলনে সন্দেহ হচ্ছে শুধুমাত্র তাদের আটক করা হচ্ছে। এছাড়া অন্যদের তল্লাশি শেষে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তল্লাশীর সময় আটকদের প্রথমে পার্শ্ববর্তী আমিনবাজার বিশিষ্ট হাসপাতালের ভেতরে রাখা হয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে আটককৃতদের নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকেই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার এলাকায় পুলিশ নিয়মিত চেকপোস্ট কার্যক্রম শুরু করে।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস ও ট্রাফিক উত্তর বিভাগ) আব্দুল্লা হিল কাফী জানান, নিয়মিত তল্লাশির অংশ হিসেবে আমাদের এখানে সবসময় তল্লাশি চালানো হয়। এ ছাড়া সাভারের বিরুলিয়া, আশুলিয়ার ধউর, জিরানী, জিরাবো ও বাইপাইল এলাকায় চেকপোস্ট কার্যক্রম চলছে। ঢাকায় দুই দলের কর্মসূচি থাকায় কেউ যাতে কোনো ধরনের নৈরাজ্য চালাতে না পারে, তাই তল্লাশিতে জোর দিচ্ছি। এ সময় বিভিন্ন পরিবহনে তল্লাশি চালিয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের আটক করা হয়েছে।
রিবহনে তল্লাশি চালিয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের আটক করা হয়েছে।