পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশ আগামীকাল বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে আগামী শুক্রবার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। শুক্রবার বেলা ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। আজ শুক্রবার রাত ৯টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে আগামী ২৮ জুলাই শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন বেলা ২টায় নয়াপল্টনে পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশ অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিচ্ছে। আমরা আশা করি, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চলমান গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আয়োজিত এ মহাসমাবেশ অনুষ্ঠানে সরকার কিংবা সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান কোনো বাধার সৃষ্টি করবে না।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে আয়োজিত যে কোনো গণতান্ত্রিক কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত করার যে কোনো অপচেষ্টা দেশবাসী প্রকৃতপক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধা হিসেবেই দেখবে। এমন অপচেষ্টায় নিয়োজিতদের গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা সৃষ্টিকারী হিসেবেই গণ্য করা হবে।’
আওয়ামী সরকারের পদত্যাগের জন্য এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় ২৭ জুলাই মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অথবা নয়াপল্টনে সমাবেশ করার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে অনুমতি চেয়েছিল বিএনপি।
তবে ডিএমপি রাজধানীর নয়াপল্টন অথবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নয়, গোলাপবাগ মাঠে বিএনপিকে মহাসমাবেশ করার পরামর্শ দিয়েছে। ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, বৃহস্পতিবার যেহেতু কর্মদিবস, সে কারণেই নয়াপল্টন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ না করে গোলাপবাগ মাঠে বিএনপিকে সমাবেশ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তাদের (বিএনপি) এখনো কোথাও অনুমতি দেওয়া হয়নি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ব্যাপারে হাইকোর্টের একটা অবজারভেশন আছে। আমরা তাদের গোলাপবাগ মাঠ দেখতে বলেছি।’
এদিকে, আজ বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জরুরি সে বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে গোলাপবাগে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত ডিএমপিকে জানানো হয়।