জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন বলেছেন, ‘বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, হেফাজতে মৃত্যু, গুম ইত্যাদি নিয়ে আমরা কথা বলে থাকি। এসব বিষয়ে নিয়ে আমরা যথেষ্ট চিন্তিত। যখন যেখানে যাই ঘটছে সে বিষয়গুলো আমাদের খতিয়ানে আছে।’
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কার্যালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন ড. কামাল উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক অনেক ঘটনা ঘটেছে। এমন কোনো ঘটনা নেই যে মানবাধিকার সে বিষয় নিয়ে কথা বলেনি। সুলতানা জেসমিন থেকে আলাল তাদের বিষয় নিয়ে আমাদের মামলা ও তদন্ত চলছে। আমরা সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। সম্প্রতি সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম তাকে খুন করা হয়েছে। কে মেরেছে তাকে? আমরা জানি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়েও তাকে কিছু করা যায়নি। সেই মামলা খারিজ হয়ে গেছে। এরপর তাকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও পরে তাকে ওই দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। এমন ঘটনাগুলো আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। এতে করে বিদেশে আমাদের খাটো করা হয়।’
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে তারা জানতে চেয়েছেন। নির্বাচন নিয়ে যে দু-একটি ঘটনা ঘটেছে সেগুলো নিয়ে তারা জানতে চেয়েছেন। এসব ঘটনাগুলো কী আমাদের দেশের পুরো ইমেজকে নষ্ট করে দিবে। এসব নিয়ে আমাদের ভাবেতে হবে। দেশের ইমেজ যাতে খাটো না সেদিক সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।
গতকাল সোমবার ঢাকায় এসেছেন ইমন গিলমোর। বাংলাদেশে ইমোন গিলমোরের এটি দ্বিতীয় সফর। আজ বৈঠকে তার সঙ্গে ছিলেন ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের ( ইইএএস) রাজনৈতিক উপদেষ্টা ভিক্টর ভিলিক। বৈঠকে অংশ নিয়ে ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত এইচ ই চার্লস হোয়াইটলিসহ চার সদস্যের প্রতিনিধি দলও।
এর আগে, ২০১৯ সালের জুনে ইমন গিলমোর প্রথম বাংলাদেশে আসেন। ওই সফর শেষে গিলমোর বাংলাদেশে শ্রম অধিকারসহ মানবাধিকারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের কথা বলেছিলেন।
গিলমোর ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত আয়ারল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন। তার সময়ে আয়ারল্যান্ড আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বেইলআউট থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছিল।