বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করেছেন আদালত।
আজ সোমবার বিকেলে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামান এ মামলায় সর্বশেষ সাক্ষী হিসেবে তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক তৌফিকুল ইসলামের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। তার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আগামী ২৭ জুলাই যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলেই মামলার রায় ঘোষণার দিন ঠিক করবেন আদালত।
তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমান পলাতক থাকায় আইনি লড়াইয়ের সুযোগ পাননি। মামলাটিতে ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করলেন আদালত।
গত ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই আদালত।
এর আগে গত ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর গত ১৯ জানুয়ারি তাদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। ২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।