এ সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় না, সিলেকশন হয় মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ঘণ্টাব্যাপী যৌথ সভা করে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, এ দেশের ৯০ শতাংশ রাজনৈতিক দল এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। যুগপৎ আন্দোলন ছাড়া এককভাবে অনেক দল এ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে।
সরকারের সাথে থাকা জাতীয় পার্টির কথা তুলে ধরে মহাসচিব বলেন, তারা বলছে এ সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় না, সিলেকশন হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে বাংলাদেশের মানুষের সময় এসেছে আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের অধিকার ফিরে পাবার। এ আন্দোলন জনগণের আন্দোলন। এ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে চাই।
এ আন্দোলন অবশ্যই সফল হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এ দেশের জনগণ আন্দোলন চায়। তারা বিশেষভাবে জড়িয়ে পড়ছে আমাদের আন্দোলনে।
যুবলীগ তাদের সমাবেশ আমাদের সাথে মিল রেখে একই দিনে ২৭ জুলাইয়ে নিয়ে গেছে। একটা সঙ্ঘাত করতেই তারা এমনটা করছে। এখানে অপ্রীতিকর কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে এর সকল দায় এই সরকারকে নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম।
সারাদেশ থেকে মানুষকে এ সমাবেশ যোগ করার আহ্বান করেন তিনি। এ সমাবেশে কী বার্তা দিতে চান, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বার্তা একটাই এই সরকারের পদত্যাগ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, শামা ওবায়েদ, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস প্রমুখ।