বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের সংবিধানে ছিল, নিরপেক্ষ বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার একটি কারণে সেই পদ্ধতি বাতিল করেছেন।
আজ শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে যেটা ছিল, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। সেই ব্যবস্থাকে তারা বিচারপতি খায়রুল হকের যোগসাজশে, আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে তারা সেটাকে পাস করিয়ে নিয়েছে যে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। সেটাও জনগণের সঙ্গে তারা সম্পূর্ণভাবে প্রতারণা করেছে, জনগণকে ভুল বুঝিয়েছে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘সেই রায়েও বলা ছিল, আরও দুটি নির্বাচন কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে হতে পারে। হওয়া উচিত বলে তারা মনে করেছিলেন। কিন্তু এই সরকার সেটাকে বাতিল করে দিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন বহাল রেখেছে। কারণ একটাই, তারা নিশ্চিত, নিরপেক্ষ নির্বাচনে কখনো জয়ী হতে পারবে না। আজকে যদি নির্বাচন হয়, তারা ১০টার বেশি আসন পাবে না।
আগের দুটি নির্বাচন নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘২০১৪ সালে ভোট করেছে, কোনো ভোটই হয় নাই। ১৫৪ জনকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করে ক্ষমতা দখল করেছে। ২০১৮ সালে কী করেছে? আগের রাতেই ভোট করেছে। তারা কি বৈধ সরকার হতে পারে?