শত চেষ্টা করলেও সরকার বর্তমান পদ্ধতিতে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সাবেক বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ। আজ বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল আয়োজিত ‘ডেমোক্রেসি, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড দ্য রুল অব ল’ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘গত ১৪-১৫ বছরের সরকারি কর্মকর্তা যারা চাকরিতে ছিলেন, তারা কি পলিটিক্যাল পার্টির ফেবার নেননি। আজকে যদি প্রাইম মিনিস্টার সবার পায়ে ধরে যে, ভাই যা করছি করছি আর ভবিষ্যতে করতে দেব না। তাও বন্ধ করতে পারবে না। কারণ ১২-১৪ লাখ লোক লাগে একটা নির্বাচন চালাতে। এত লোক কোথা থেকে পাবে? সরকারি চাকরিজীবীরা জানে, আজকে যদি আরেকটা সরকার আসে তাহলে প্রথমে তার চাকরিটা নিয়ে টানাটানি করবে।’
বিচারপতি আব্দুর রউফ বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানে দুটি জিনিস ঢুকানো হয়েছে এবং কেন ঢুকানো সেটি আমরা এখনো জানি না। দুটি জিনিস হচ্ছে গণতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্র। এগুলো তেল ও পানির মতো, যা একে অপরের সঙ্গে মিশে না। যারা কন্সটিটিউশন ঢুকিয়েছেন তারাই বলতে পারবেন, কেন এটি সেখানে ঢুকিয়েছেন। যারা কন্সটিটিউশন ক্লেম করেছিলেন তাদের মাথায় এটি আসলেও তারা বেকায়দায় পড়ে এটি করেছেন। আমাদের সংবিধানের একটি জিনিস রয়েছে পার্লামেন্টের ফর্ম অব ডেমোক্রেসি।’
এ সময় আব্দুর রউফ আক্ষেপ করে বলেন, ‘আইডি কার্ডের সিস্টেমটা আমি করেছিলাম। কিন্তু বর্তমান ইলেকশন কমিশনে আমার সময়কার কোনো রেকর্ডপত্র নাই।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার প্রমুখ। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।