বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ঢাকার সঙ্গে সিরাজগঞ্জের বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে সিরাজগঞ্জ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন। একইসঙ্গে টাঙ্গাইল মালিক সমিতির বাস সিরাজগঞ্জ দিয়ে উত্তরাঞ্চলে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
বিনা অনুমতিতে একটি বাস চলাচলকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার টাঙ্গাইলে দুই শ্রমিককে মারধর করেন নিবির পরিবহনের মালিক তুষার। সেই ঘটনার প্রতিবাদে আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় সিরাজগঞ্জ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সুলতান তালুকদার বলেন, ‘টাঙ্গাইল মালিক সমিতির তুষারের মালিকানাধীন নিবির পরিবহন নামে একটি বাস দীর্ঘদিন ধরে রাজশাহীতে চলাচল করে। সিরাজগঞ্জ মালিক সমিতির সঙ্গে কোনো আলোচনা না করে গত কয়েক মাস ধরে আরও একটি গাড়ি অবৈধভাবে এই রুটে চালানো হচ্ছে। এ কারণে আমরা ওই গাড়ি ফিরিয়ে দিই।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত মঙ্গলবার নির্জনা পরিবহন নামে সিরাজগঞ্জের একটি বাস বিয়ের রিজার্ভ ভাড়া নিয়ে যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে এলেঙ্গা ও টাঙ্গাইল বাইপাসে দুই স্থানে থামিয়ে দিয়ে নিবির পরিবহনের মালিক তুষার নিজে উপস্থিত থেকে দুই শ্রমিককে বেধড়ক পেটায়। বিষয়টি মীমাংসার জন্য আমরা টাঙ্গাইল মালিক ও শ্রমিক সমিতির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও কোনো সাড়া পাইনি।’
জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আরও বলেন, ‘এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মালিক-শ্রমিক যৌথ মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সিরাজগঞ্জ-ঢাকা রুটের সকল পরিবহন শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার ভোর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাবে। অবৈধভাবে নিবির পরিবহন চলাচল বন্ধ ও দুই শ্রমিককে মারপিটের বিচার না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য এ রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।’
এ সময় টাঙ্গাইল মালিক সমিতির কোনো পরিবহনকে সিরাজগঞ্জ দিয়ে উত্তরাঞ্চলে চলতে দেওয়া হবে না বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মণি, সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সহ-সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, আব্দুর রাজ্জাক রাজা, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মাজেদ খান, কোষাধ্যক্ষ মোক্তার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আলম শেখ, ক্রীড়া সম্পাদক সোহেল রানা, সদস্য আব্দুল মজিদসহ আরও অনেকে।