টঙ্গী(গাজীপুর)প্রতিনিধি: ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী কলেজগেট এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়ায় মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। দাবী আদায়ে বিআরটি কর্তৃপক্ষ পুলিশের উপস্থিতিতে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দেয়ার পর শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়। দাবী আদায়ে তিন দিনের কাজ দুই দিনে ও তিন মাসের কাজ এক মাসে সম্পন্ন করার বিষয়ে স্ট্যাম্পে চুক্তি হয়।
রবিবার(১৬ জুলাই) বিকাল ৩টার পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অবরোধ ছেড়ে চলে যায়। এর আগে সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে কলেজগেট এলাকায় মানববন্ধনের পাশাপাশি থেমে থেমে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে তারা।
টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, বিআরটি‘র ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের দাবী আদায়ের নানা শর্তে লিখিত স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করেন। এসময় জিএমপির ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষার্থীদের দাবীর মধ্যে স্প্রীডব্যকার(গতিরোধক) ও সাধ্যমত দাবী দুই দিনের মধ্যে পূরণ করা হবে। ফ্লাইওভারের তিন মাসের কাজ এক মাসে করা হবে বলে স্ট্যাম্পে উল্লেখ করা হয়। এর আগে সকাল ১১টায় টঙ্গী কলেজগেট এলাকা ও আশপাশের ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী সড়ককে নিরাপদ করার জন্য চার দফার দাবীতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করে। বিকাল ৩টা পর্যন্ত তারা মহাসড়কে অবস্থান করে মানববন্ধন ও থেমে থেমে সড়ক অবরোধ করে। এতে মহাসড়কে আট কিলোমিটার যানজট তৈরী হয়। অবরোধ তুলে নেয়ার পর বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা চারটি দাবি জানায়। দাবি গুলো হলো- টঙ্গীর
চেরাগাআলী, কলেজগেট, হোসেন মার্কেট ও বড় বাড়ি এলাকায় স্পিড ব্রেকার(গতি রোধক) দিতে হবে, চেরাগ আলী, কলেজ গেট, হোসেন মার্কেট এলাকায় ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ করতে হবে, ব্রিজ হওয়ার আগে ট্রাফিক ব্যবস্থা জেরদার করতে হবে,স্পিড ব্রেকার(গতি রোধক) নির্মানের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বি আর টি প্রকল্পের মাঝের লেন বন্ধ করতে হবে।
প্রসঙ্গত: রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় কলেজগেট এলাকায় চাঁদনী আক্তার(৩২) নামে এক বিদেশী নাগরিকের স্ত্রী বাসের ধাক্কায় মারা যায়। প্রায় একই জায়গায় বৃহসপতিবার(১৩ জুলাই)সুহাদ মাহমুদ ফাহিম নামে সরকারী তিতুমীর কলেজের এক শিক্ষার্র্থী বাসচাপায় মারা যায়। শিক্ষার্থীদর দাবী একই জায়গায় দশ বছরে ১৮জন মানুষ সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যাওয়ার প্রতিবাদে ও চারদফা দাবিতে
মানববন্ধন করতে যাওয়ার পথে বাসের ধাক্কায় আলিফ(১৪) নামে নবম শ্রেনীর একজন শিক্ষার্থী আহত হয়।