সিনেমার প্রচারণায় বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। আর গেল বুধবার রাতে একমাত্র সন্তান জয়কে নিয়ে আমেরিকার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন অপু বিশ্বাস। সেসময়ই কথা রটে- শাকিবের সঙ্গে দেখা করতে জো বাইডেনের দেশে পাড়ি দিয়েছেন অপু। অবশ্য তার আগ থেকেই শোবিজে গুঞ্জন রয়েছে- এক হচ্ছেন সাবেক দম্পতি শাকিব-অপু!
গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শাকিব-অপু-জয়ের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায়, নিউইয়র্কের রাস্তায় একটি বিসালবহুল কালো গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। ম্যাকডোলোন্ডস থেকে শাকিব খান পুত্র জয়কে নিয়ে বের হচ্ছেন। পেছন পেছন আসছেন অপু বিশ্বাস। ছেলে নিয়ে সে গাড়ির পেছন সিটে বসলেন শাকিব খান। আর অপু বসলেন সামনের সিটে। ভিডিও’র সময়কাল স্থানীয় সময় ১৪ জুলাই সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিট।
আর দেশটিতে বসবাসকারী বাংলাদেশি বিনোদন জগতের বিভিন্ন সূত্রও বলছে, জয়কে নিয়ে শাকিব-অপু একসঙ্গে নানা জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। শুধু তাই না, আমেরিকায় বসবাসরত অনেক তারকাশিল্পীদের আমন্ত্রণেও অংশ নিচ্ছেন তারা।
শাকিব-অপুর এবারের আমেরিকার সফর নিয়ে ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মনে ইতিমধ্যেই জন্ম নিয়েছে নানা প্রশ্ন। যার কিছুটা হলেও প্রমাণ মেলে ফেসবুকে। অনেকেই বলছে- এই সফরের কারণে শাকিব-অপুর মান অভিমানের ইতি ঘটবে। আবার কারো কথায়- সাবেক এই দম্পতি আবার এক হয়ে সংসার করবেন! আসলেই কী তাই!
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অপু এবারের সফরের পেছনে বড় একটি কারণ হলো জয়ের গ্রিন কার্ড। অপর একটি কারণ- অপুর স্টেজ শো। তবে ছেলের কারণেই মূলত অপুর এবারের সফরটি বলে জানিয়েছেন একাধিক ঘনিষ্ঠ সূত্র।
তাদের কথায়- মায়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে এবারই প্রথম সফর করল শাকিবের সন্তান আব্রাম খান জয়। অপু ও আব্রামের গ্রিন কার্ডের জন্য তারা এখন দেশটিতে অবস্থান করছেন। আর এতে সহযোগিতা করছেন স্বয়ং শাকিব খান নিজেই।
আর অপু ঘনিষ্ঠ সূত্র বলেন, ‘শাকিব ও অপুর আইনত সম্পর্ক যেমনই হোক তারা দু’জন আব্রামের বাবা-মা। দু’জনই চান সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যত। সে কারণে অপু ও আব্রামের গ্রিন কার্ডের প্রক্রিয়াতে সহযোগিতা করছেন শাকিব।’
এদিকে, আমেরিকার অভিবাসন আইন অনুযায়ী স্বামীর গ্রিন কার্ড থাকলে স্ত্রী’র তা (গ্রিন কার্ড) পেতে সহজ হয়। এক্ষেত্রে স্বামী হিসেবে শাকিব অপুকে সহযোগিতা করতেই পারেন।
অন্যদিকে, শাকিবের আরেক সাবেক স্ত্রী শবনম বুবলীর আমেরিকান ভিসা আছে। এমনকি তাদের একমাত্র সন্তান শেহজাদ খান বীরও জন্মসূত্রে আমেরিকান। ফলে অপর সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শাকিব নিজেই দৌড়ঝাঁপ করবেন- এটাই স্বাভাবিক বলে অনেকেই মনে করছেন।