২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ঘটনা নিশ্চই মনে আছে আমাদের। ২০০৬ সালে রাজনৈতিক সমঝোতা না হওয়ায় বিএনপি সরকারের সময় রাষ্ট্রপতিকে প্রধান উপদেষ্টা করার পর দেশে আসে অসাংবিধানিক সরকার। প্রধান দুই দলের দুই প্রধান গ্রেপ্তার হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশে ঘটে যায় নতুন ইতিহাস। রাজনীতিতে নেমে এসেছিল ঘোর অমানিষা। রাজনৈতিক বিবাদের ফলে চলে আসা অসাংবিধানিক সরকার আর দুই বছর দেশ শাষন করে তারা। তারপর একটি গণতান্ত্রিক সরকার আসে। সেই থেকে শুরু হয় গনতান্ত্রিক শাষন ব্যবস্থা। ২০১৪ সালে আবার রাজনেতিক ঝগড়া বেঁধে যায়। সেই ঝগড়ার কিছুটা কমতি দেখা দেয় ২০১৮ সালের নির্বাচনে। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফলের পর আবার ঝগড়া। সেই ঝগড়া এখনো চলছে। আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনে এখন মোড়লরা দেশে এসে মাতব্বরি করছেন। সরকার ও সরকার বিরোধীরা পরিস্থিতি জেনেও না জানার ভাব করছেন। তাদের সমঝোতা না হলে কি হতে পারে তা অতীত থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত। নিজের ঘরে ঝগড়া হলে বাইরের লোকের সুবিধা হয় এটা বাংলাদেশের জন্য এখন শিক্ষনীয় বিষয়। ঝগড়ার ফলাফল জানা থাকলেও আমরা জানিনা বলেই আবার ঝগড়া করছি। নির্লজ্জ্বের মত বিদেশীদের স্বরণাপন্ন হচ্ছি। এই মুহুর্তে বাংলাদেশের জনগন ক্ষমতার উৎস না বিদেশীরা! তা নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হলে ভুল হবে না। কারণ রাজনৈতিক দলগুলো বাংলাদেশের জনগনের উপর বিশ্বাস না করে এখন বিদেশীদের বিশ্বাস করছে। আর অসহায় জনগন সেই দৃশ্য দেখছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক।
পরিস্থিতি বলছে, ভোট কে দিবে? সরকার না জনগন! না বিদেশীরা! আওয়ামীলীগ সরকারের অধীন নির্বাচন হলে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসবে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচন হলে আওয়ামীলীগ ক্ষমতা হারাবে এ ধরণের বিশ্বাস এখন মাথায় মাথায় ঘুরছে। তাহলে জনগনের রায়ের উপর নির্ভরতা কোথায়? সরকার কি ভোট দিতে পারে? না বিদেশীরা ভোট দিয়ে সরকার বানাবে! এই অবস্থা একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের জন্য দুভার্গ্যজনক। এতে স্বাধীনতা সার্বৗভৌমত্ব ও গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাই জনগনের উপর বিশ্বাস রেখে ঝগড়া মিটানো উচিত। না হয় বিদেশীরা কি করতে পারে, তা অতীত থেকে শিক্ষা নিলে ভাল হবে। হারিয়ে ধন খুঁজলে লাভ নেই।