প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি মানুষকে বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।’
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ন্যাশনাল কনফারেন্স অন পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি প্যানেল ডিসকাশন শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা গ্রামীণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় ৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করি। আরও আড়াই হাজারটি কমিউনিটি ক্লিনিকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করে এবং আমাদের স্থাপিত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেয়। এতে করে গ্রামের মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়।’
সম্মেলনে দেশের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে আবারও ক্ষমতায় এসে আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো চালু করি। সেসময় সবমিলিয়ে সাড়ে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা শুরু হয়। বর্তমানে সেগুলো থেকে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি মানুষকে বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।’
মানুষের বর্তমান গড় আয়ু ৭৩ বছর জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৬ সালে মানুষের গড় আয়ু ছিল ৫৯ বছর। বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩ বছর হয়েছে। আমরা ৯৭ শতাংশ মানুষের কাছে বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা পৌঁছে দিয়েছি। ইউনিয়ন পর্যায়ে দক্ষ দাত্রী দিয়ে প্রসব সেবা দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় এসে মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন-২০১৮ পাস করেছি। শ্রমজীবী মানুষকে নিয়মিত চিকিৎসাসেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। চার মাসের বেতন-ভাতাসহ মাতৃত্বকালীন ছুটি নিশ্চিত করা হয়েছে। জনগণকে উন্নত সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল।’
এ সময় বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এই অঞ্চলের মানবিক সংকট ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘দ্রুত মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের মাধ্যমেই কেবল রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান সম্ভব। আশা করি শিগগিরই মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেবে।’
স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘এজন্য নিবেদিত কূটনৈতিক তৎপরতার বিকল্প নেই। বাংলাদেশ পুরোভাগে থাকবে। আসুন পুরো বিশ্ব একযোগে কাজ করি।’