গণঅধিকার পরিষদের প্রথম কাউন্সিলে দেশ-বিদেশ থেকে ভোটারদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সরকারকে একটি ম্যাসেজ (বার্তা) দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলটির সদস্যসচিব নুরুল হক নুর।
আজ রাজধানীর বিজয়নগরে গণঅধিকার পরিষদের দলীয় কার্যালয়ে দিনব্যাপী চলে এই ভোটগ্রহণ। ভোটে সভাপতি পদে দাঁড়িয়েছেন নুরুল হক নুর।
ভোটের অবস্থা নিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের নুর বলেন, ‘ভোটের পরিবেশ খুবই ভালো। সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে যে, আজকে বাংলাদেশ না সারা বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে এবং তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার সারা বিশ্বে। আমরাই বোধহয় বাংলাদেশে প্রথম কোনো রাজনৈতিক দল, বলা চলে বাংলাদেশে একটি স্বীকৃত পন্থা ব্যবহার করছি। আমাদের যারা প্রবাসী ভোটার রয়েছে, জেলা পর্যায়ে যারা শারীরিক অসুস্থতার কারণে আসতে পারেনি কাউন্সিলে, অনলাইনে তাদের ভোটদানের ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করেছি। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সরকারকে আমরা একটা ম্যাসেজ দিয়েছি যে, আমাদের প্রায় যে দুই কোটি প্রবাসী তারা ভোটের অধিকার প্রয়োগ করার জন্য যে একটা আর্তনাদ করে যে, তাদের ভোটাধিকার দেওয়া হোক। আমরা দেখিয়ে দিয়েছি যে, প্রবাসীদের ভোটাধিকার সরকার চাইলে নিশ্চিত করতে পারে।’
ভোটে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে গণঅধিকার পরিষেদের সদস্যসচিব বলেন, ‘অনেক শঙ্কার মধ্যে ছিলাম আমরা যে, এই নির্বাচনটি স্বতঃস্ফূর্ত ও উৎসবমখর করতে পারব কি না। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ, দিন শেষে আমরা দেখেছি, আমাদের প্রত্যাশার চেয়েও অনেক রেসপন্স এসেছে। প্রায় ৮০ শতাংশের মতো ভোট কাস্ট হয়েছে। একেবারে সকাল থেকে এখন পর্যন্ত অফিস থেকে শুরু করে অফিসের নিচে সড়ক এবং দোকানপাট সমস্ত জায়গায় গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের পদচারণা। বলা চলে যে, কালভার্ট রোড আজ গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মিছিল-মিটিং ও স্লোগানে মুখরিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেদিক থেকে বলাই যায় যে, গণঅধিকার পরিষদের কাউন্সিলটি একটি উৎসবমুখর পরিবেশে হচ্ছে এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটার এবং কাউন্সিলররা ভোট দিচ্ছেন। বিশেষ করে এই কাউন্সিলের আরেকটি চমক, শেষ সময়ে দেখা গেছে যে, গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মী যারা দিকভ্রান্ত হয়েছিলেন, গোয়েন্দা সংস্থার ফাঁদে পড়ে যারা গণঅধিকার পরিষদ ভাঙার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন, সরকারের সঙ্গে আঁতাত করার একটা প্রক্রিয়ায় লিপ্ত ছিলেন, তারা শেষ পর্যন্ত নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে অনেকেই গণঅধিকার পরিষদে ফিরে এসেছে।’
নুরুল হক নুর বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, আমাদের দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা তিনি এই কাউন্সিলে প্রার্থীও হয়েছেন। সেদিক থেকে বলা চলে যে, গণঅধিকার পরিষদের এই কাউন্সিল মোটামুটি বিভক্তিটার কিছুটা রাশ টানতে সক্ষম হয়েছে। কাউন্সিলের পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলে আশা করি বাকিরাও যখন পদ-পদবিতে থাকবে, তখন আর এই বিভক্তিটা থাকবে না।’