কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলিতে এ ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে ক্যাম্প-৮ ওয়েস্টে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা সবাই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসার সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মৃত আবুল কাশিমের ছেলে আনোয়ার সাদেক (২৩), জকরিয়ার ছেলে মো. হামিম (২১), ১০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা আব্দুল কাদেরের ছেলে নজিমুল্লাহ (২৬), ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা বৈদ্য বশরের ছেলে নুরুল আমিন (২৪) ও অপরজনের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি।
গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি হলেন বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা নোমাল হাকিমের ছেলে ইমান হোসেন (৪৫)। তাকে প্রথমে ক্যাম্পের ভেতরে থাকা একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরবর্তীতে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনার পর থেকে পুরো রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্য ব্লকে ব্লকে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
ক্যাম্প সুত্রে জানা যায়, ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণে কিছুদিন ধরে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা ও আরএসও’র মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। এরই জেরে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। এ ঘটনায় ক্যাম্পজুড়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ৮ এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার (অপারেশন অ্যান্ড মিডিয়া) ফারুক আহমেদ বলেন, ক্যাম্পে একাধিক সশস্ত্র গ্রুপের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে খুনোখুনি বাড়ছে। এরইমধ্যে সকালে দুই সন্ত্রাসী দলের গোলাগুলির ঘটনায় পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তারা সবাই আরসার সদস্য।
৮ এপিবিএনের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আমির জাফর বলেন, ‘সকাল ৬টার দিকে ক্যাম্পে রোহিঙ্গা দুষ্কৃতকারীদের গোলাগুলির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে ৮ এপিবিএনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অভিযানের পর বিস্তারিত জানানো হবে।’
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, মরদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।