সাদিক আব্দুল্লাহ জীবনেও রাজনীতি করবেন না, যদি…

Slider বরিশাল

পৈত্রিক বাড়ি ছাড়া বরিশালে নিজের কোনো বাড়ি নেই বলে দাবি করেছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের বিদায়ী মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। এমনকি আমেরিকায় তার যে বাড়ি আছে, সেটা মেয়র হওয়ার আগেই কেনা বলে দাবি করেন তিনি। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এই দাবি করেন।

সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, ‘অনেকে বলে আমাকে নাকি ফ্ল্যাট দিয়েছে, আপনি দলিলসহ দেখান কেউ আমাকে একটা ফ্ল্যাট দিয়েছে, দেখাতে পারলে জীবনে আর রাজনীতি করব না। কালীবাড়ি রোডে আমি পৈত্রিক বাড়িতে থাকি। পাশেই ৬ শতাংশ জায়গা আমার বাবা কিনে দিয়েছিল। এছাড়া আমার কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য নেই। ওই বাসা থেকে আজকে নামিয়ে দিলে আমার বরিশাল শহরে থাকার জায়গা নেই। ঢাকা শহরের কলাবাগানে বাবার যে পৈত্রিক বাড়ি আছে, ঢাকায় গেলে সেখানেই থাকি। ঢাকায় আমার যা ছিল, তাই আছে। নির্বাচনে যদি নমিনেশন পাইতাম, তখন হলফনামা দিলে আপনারা বুঝতে পারতেন।’

বিদেশে বাড়ির বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিদেশে আমার আমেরিকায় যে বাড়ি আছে, সেখানে আমার সন্তানরা থাকে। সেটা আমি মেয়র হওয়ার আগেই কিনেছি। আপনারা যাচাই করে দেখতে পারেন। সেখানে সন্তানরা থাকে। তারা সেখানে পড়াশোনা করে, নিজেরা ইনকাম করে। তাছাড়া আমি ২০০১ সাল থেকে আমেরিকায় ছিলাম।’

বরিশাল সিটিতে ভবনের প্ল্যান পাস করলে ফ্ল্যাট দেওয়া লাগে এমন প্রশ্নের জবাবে সাদিক আব্দুল্লা বলেন, ‘একটা দেখান যে ওমুকে আমাকে একটা ফ্ল্যাট দিয়েছে। মুখে বলে- আপনি দলিলসহ দেখান, আমাকে একটা ফ্ল্যাট দিয়েছে কেউ। যদি কেউ দেখাতে পারে তাহলে আর জীবনে রাজনীতি করব না। কোটি কোটি টাকার বিল দিয়েছি। কেউ বলতে পারবে না আমি কোনো কাজে কমিশন নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘মেয়রের ফান্ড বলে কিছু নেই। যা আছে জনগণের টাকা। জনগণের টাকা, জনগণের খাতে গেছে। যদি মেয়র ফান্ডে কোনো টাকা নিতাম, তাহলে ৫ বছরের গ্যারান্টি দিয়ে কোনো রাস্তা করতে পারতাম না। প্রতি মাসে অডিট হয়। আমার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতি পেলে এতদিন মামলার শেষ থাকত না। আমার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছে। বরিশালের মানুষ জানে- আমি কি করেছি। কেউ ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেটা হয়েছে বরিশালবাসীর স্বার্থে। এখানে আমার ব্যক্তিগত কোনো লাভ ছিল না।’

রাজনীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চাচাকে নিয়ে আমি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করব। আমার পরিকল্পনাগুলো তাকে দিয়ে যাব। তিনি যদি মনে করেন সেগুলো বাস্তবায়ন করবেন, তাহলে করবেন। তিনি সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করবেন। এখানে সংঘাতের কোনো বিষয় নেই। তৃতীয় পক্ষ চায় আমাদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে।

সর্বশেষ দায়িত্ব পালনকালে কোনো ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে নগরবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন সাদিক আব্দুল্লাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *