দুই কিশোরীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি ও এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৩ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় অপহৃত কিশোরীদের উদ্ধার করা হয়। গত শনিবার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সিআইখোলা এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে ওই কিশোরীদের উদ্ধার ও অভিযুক্ত অপহারণকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ডিএমপির কদমতলী থানার শ্যামপুর শাহী মসজিদ সংলগ্ন হাসেম মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. রাসেল (৩৩), সিআইখোলা শাহজাহানের বাড়ির ভাড়াটিয়া আল আমিন (৩২) ও পাইনাদি কবরস্থান সংলগ্ন সামসুল হক সাহেবের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. মামুন (৩৯)। এ ঘটনায় পলাতক রয়েছেন গ্রেপ্তারকৃত আল আমিনের স্ত্রী জোসনা বেগম (২৮)।
কিশোরীদের উদ্ধারের পর ১২ বছর বয়সি এক কিশোরী জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আল আমিনের স্ত্রী জোসনা বেগমর হুকুমে অপর আসামি রাসেল তাকে ধর্ষণ করেছে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত শনিবার বিকেল পৌনে ৬ টায় ডিএমপির শাহজাহানপুর থানার শান্তিবাগ এলাকা থেকে মামলার বাদীর দশ বছরের মেয়ে ও তার ভাইরার ১২ বছর বয়সি মেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার কদমতলী কলেজপাড়া এলাকায় বাদীর ভায়রার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। রাত ৮ টায় সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাংরোডে বাস থেকে নামার পর আসামিরা কৌঁশলে তাদের অপহরণ করে সিআইখোলা এলাকার শাহজাহানের বাড়ির ভাড়াটিয়া আল আমিনের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তাদের আটকে রেখে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণ না দিলে দুই কিশোরীকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তাফা বলেন, গতকাল রোববার এক কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। দুই কিশোরীকে অপহরণ করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল। উদ্ধারকৃত এক কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগ এনেছে। এ ঘটনায় ৩ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ধর্ষণের অভিযোগ আনায় এক কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।