আরও সঙ্কটে গণঅধিকার পরিষদ, রেজা কিবরিয়ার চেয়ারে রাশেদ

Slider রাজনীতি

আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া ও সদস্য সচিব নুরুল হক নুরের মধ্যকার সৃষ্ট সঙ্কট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। আজ শনিবার পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে ১১টায় ড. রেজা কিবরিয়া বৈঠক ডাকলেও নিরাপত্তাহীনতার কারণে তিনি বৈঠকে যোগ দেননি। রেজা কিবরিয়া না আসায় নুরুল হক নুরপন্থিরা সভা করে।

বৈঠক শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৫ জুন গঠনতন্ত্রের ৩৮ ধারা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের ৮৪ সদস্যের স্বাক্ষরসহ আহ্বায়কের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সদস্যদের নিকট বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য আজ সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আহ্বায়ক জরুরি সভা আহ্বান করেন। ঈদের ছুটিতে যানবাহন সংকট ও প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে সদস্যরা উপস্থিত হলেও সভা ডেকে আহ্বায়ক অনুপস্থিত থাকেন। তাই সভায় উপস্থিত সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ খানকে সভার সভাপতি হিসেবে নির্বাচন করা হয়, সদস্য সচিব মো. নুরুল হক নুর সভা সঞ্চালনা করেন। সভায় গঠনতন্ত্রের ধারার ক্ষমতাবলে তিনটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য আহ্বায়কের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব সমর্থন করায় আহ্বায়ককে অপসারণ, দলের চলমান সংকট নিরসনে জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় ১০ জুলাই দলের উচ্চতর পরিষদ ও জাতীয় কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তার আগ পর্যন্ত ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ খানকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।

কাউন্সিলের পূর্ব পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এবং সদস্য সচিব মো. নুরুল হক নুরকে রুটিন মাফিক নিয়মিত দায়িত্ব পালন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

এদিকে, এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি ও নেতাকর্মীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সভায় অংশ না নেওয়ার কথা জানান ড. রেজা কিবরিয়া। বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের নিয়ে পূর্বঘোষিত বিশেষ জরুরি সভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলাম। বিভিন্ন সোর্স থেকে জানতে পারলাম যে, ভিপি নুর একই সময়ে আরও তিনটি সভা ডেকেছেন। আমি আরও জানতে পারলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সারা দেশ থেকে বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মী ও বহিরাগত লোক এনে কার্যালয়ের আশেপাশে জড়ো করেছেন।’

রেজা কিবরিয়া আরও বলেন, ‘কার্যালয়ের ল্যান্ড অনার্স আমাকে রাতে অবগত করেছেন— বিশৃঙ্খলা এড়াতে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছেন। এতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরির উদ্দেশ্য মনে হওয়ায় নেতাকর্মীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমি রাস্তা থেকে ব্যাক করে চলে আসি। এমতাবস্থায় সভার কোরাম পূর্ণ হলে সভাটি গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করার আহ্বান করছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *