পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ শেষে পছন্দের পশু কোরবানি করছেন সামর্থ্যবান ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকাল থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পশু কোরবানি শুরু হয়। যা ঈদের তৃতীয় দিন পর্যন্ত চলবে।
রাজধানীতে বৃষ্টির মধ্যে বাসার নিচের গ্যারেজে, বাসার সামনের রাস্তায়, এলাকার ফাঁকা মাঠে পছন্দের গরু, মহিষ, খাসি, ভেড়া, দুম্বা কোরবানি চলছে। কসাইরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। একটার পর একটা পশুর চামড়া ছাড়িয়ে মাংস প্রস্তুত করে দিচ্ছেন তারা।
যাত্রাবাড়ীর বাসিন্দা নেয়ামত জানান, আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় সকালে নামাজ পড়ে এসেই পশু কোরবানি করেছি। বৃষ্টির মধ্যে কিছুটা বেকাদায় পড়তে হচ্ছে। তারপরেও আল্লাহর শুকরিয়া যে কোরবানি দিতে পারছি।
কারওয়ানবাজারের বাসিন্দা তোফায়েল বলেন, আগে গ্রামের বাড়িতে কোরবানি করতাম। গত বছর মা মারা যাওয়ার পর এখন ঢাকায় কোরবানি দিচ্ছি। মাংস কাটা শেষ হলে গরীব ও আত্মীয়দের বাসায় পাঠাব।
এদিকে কোরবানির পশুর রক্ত ও বর্জ্য যথাযথভাবে পরিষ্কার করার এবং নির্ধারিত স্থানে ফেলার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া কোরবানির বর্জ্য অপসারণ বা কোরবানির গোশত বিতরণে পরিবেশসম্মত ব্যাগ বা পাত্র ব্যবহার করার আহ্বান জানান হয়েছে।