পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সব অফিস, শিল্পকারখানা ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় জাতীয় এই ছুটির সময় দেশের সামগ্রিক বিদ্যুতের চাহিদা যখন আট হাজার দুই শ’ মেগাওয়াটে নেমে আসে, তখন তিনটি বৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র তাদের তিনটি উৎপাদন ইউনিটের কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দিয়েছে।
এগুলো হলো রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট (৬৬০ মেগাওয়াট), ভারতের আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট (৮০০ মেগাওয়াট) এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এস আলমের এসএস বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট (৬১২ মেগাওয়াট)।
সাধারণত বাংলাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা থাকে দিনের পিক টাইমে ১২ হাজার মেগাওয়াট এবং সন্ধ্যায় পিক আওয়ারে ১৬ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত যায়।
ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্য অনুযায়ী, বুধবার দুপুর ১২টায় লোডশেডিং ছিল না, যেহেতু সরকারি হিসাব অনুযায়ী চাহিদা ও সরবরাহ ছিল সাত হাজার ৯১৭ মেগাওয়াট।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘চাহিদা বেড়ে নয় হাজার মেগাওয়াট হতে পারে।’
তিনি বলেন, তুলনামূলকভাবে বৃষ্টির কারণে শান্ত আবহাওয়া এবং অফিস, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপকভাবে কমে গেছে।
এত কম চাহিদার পরিস্থিতিতে নতুন তিনটি ইউনিট জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সংযোজন করছে।
এর মধ্যে আদানি গ্রুপ ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ভারতের ঝাড়খণ্ডে স্থাপিত তাদের এক হাজার ছয় শ’ মেগাওয়াটের গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিটের বাণিজ্যিক অপারেশনের তারিখ ২৬ জুন ঘোষণা করে।
বিপিডিবির পরিচালক (জনসংযোগ) শামীম হাসান এক বার্তায় বলেন, ‘আজ (বুধবার) সকাল ৮টা ৫১ মিনিটে রামপালের এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট (৬৬০×২) এর দ্বিতীয় ইউনিটটি জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত করা হয়।’
আলম গ্রুপ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে ঈদুল আজহার পর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের কথা থাকলেও পরীক্ষামূলকভাবে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টায় আবারো বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করবে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট।
চাহিদা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৬১২ মেগাওয়াটের সমপরিমাণ বিদ্যুৎ প্রতিদিন পরীক্ষামূলকভাবে সরবরাহ করা হবে।
জনগণের বিদ্যুতের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় বিদ্যুৎ সঙ্কট মোকাবিলার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এসএস পাওয়ার কর্তৃপক্ষ আশাবাদী যে এই সময়োপযোগী উদ্যোগ দেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি নিরসনে কার্যকর অবদান রাখবে।
সূত্র : ইউএনবি