শক্তিশালী লেবাননের বিপক্ষে পারলো না মালদ্বীপ। তবে তাদের হারে সেমি-ফাইনালে ওঠার সমীকরণ সহজ হয়ে গেল বাংলাদেশের। ভুটানের বিপক্ষে ড্র করলেই ১৪ বছর পর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা চারে উঠবে হাভিয়ের কাবরেরার দল।
বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে টানা দুই ম্যাচ জেতায় সেমিফাইনাল অনেকটা নিশ্চিত ছিল লেবাননের। আজ বুধবার ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচও জিতে সেরা হয়ে সেমির টিকিট কেটেছে তারা। অধিনায়ক হাসান মাতৌকের লক্ষ্যভেদে লেবানন ১-০ গোলে মালদ্বীপকে হারিয়েছে। এতে টানা তিন ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে দলটি।
আরব দেশটির এই জয়ে ভুটানের বিপক্ষে এখন ড্র করলেই দ্বিতীয় দল হিসেবে এই গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালে উঠবে বাংলাদেশ। আবার হারলেও সুযোগ থাকবে। তখন তিন দলের গোল গড় দেখা হবে।
বেঙ্গালুরুর কান্তীরাভা স্টেডিয়ামে লেবাননের আক্রমণাত্মক ফুটবলের সামনে সমান তালে লড়াই করার চেষ্টা করে মালদ্বীপ। কিন্তু পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পেরেছে কমই। বরং লেবানন সুযোগ পেয়ে গোল আদায় করে নিয়েছে। যদিও ম্যাচের শুরুর দিকে মালদ্বীপ সুযোগ পেয়েছিল। মালদ্বীপের ইব্রাহিম আইসাম জোরালো শট নিলেও তা চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। লেবানন এগিয়ে যায় ২১ মিনিটে। বক্সের একটু বাইরে থেকে নেওয়া ফ্রি-কিকে জালে বল পাঠান হাসান মাতৌক।
বিরতির পর দু’দলই বল দখলে রেখে গোল করার চেষ্টা করেছে। মালদ্বীপকে এই অর্ধে সমতায় ফেরাতে বেশি চেষ্টা করতে দেখা গেছে। কেননা, একটি পয়েন্ট হলেই তাদের শেষ চারে ওঠার পথ সুগম হতো। শেষ পর্যন্ত তা হলো না। কারণ, র্যাঙ্কিংয়ে টুর্নামেন্টে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা লেবানন তাদের রক্ষণ জমাট রেখে প্রতিপক্ষকে গোল করতে দেয়নি।
উল্টো ৪৯ মিনিটে লেবাননের ম্যাক্সিম ওউনের বাইসাইকেল কিক মালদ্বীপ গোলকিপার হুসেন শরিফ কোনোমতে ফিরিয়ে দিয়েছেন। শেষ দিকে তাদের আরও একটি প্রচেষ্টা গোলকিপার রুখে দিয়েছেন। একইভাবে মালদ্বীপের হামজা-ইব্রাহিমরা চেষ্টা করেও গোলের তালা খুলতে পারেননি।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভুটান কখনোই ফাইনালে খেলতে পারেনি, এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে মোট ২৪ ম্যাচ খেলা ভুটান এখনও পর্যন্ত মাত্র একটি ম্যাচ জিতেছে ২০০৮ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এবং একটি ম্যাচ ড্র করেছে।
বাংলাদেশ এখনও পর্যন্ত ভুটানের বিপক্ষে ১৩ ম্যাচ খেলে মাত্র এক ম্যাচে হেরেছে। ২০১৬ সালের এএফসি এশিয়ান কাপের প্রি কোয়ালিফায়ারের সেই হারে বাংলাদেশের ফুটবল অনেক পিছিয়ে গিয়েছিল।
দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে বাংলাদেশ প্রথম ও সবশেষ শিরোপা জিতেছিল ২০০৩ সালে। সবশেষ ফাইনালে খেলেছিল ২০০৫ সালে। ২০০৯ সালে সবশেষ সেমি-ফাইনাল খেলে দল।