ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের নান্দাইলে আলোচিত চার খুনের রহস্য উদঘাটনে মাঠে নেমেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন খুনি লাল মিয়া ও তার পুত্র কামালকে খোঁজা হচ্ছে। সেসঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আসা দুইজনকে ধরতেও অভিযান চলছে।
শুক্রবার (৩ জুলাই) রাত সোয়া ১০টার দিকে লাল মিয়াসহ ৪-৫ জন মিলে বিল্লাল মিস্ত্রি (৫০) ও তার তিন পুত্র ফরিদ (৩০), হিমেল (১৬) ও পাভেলকে (১৮) নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। মারাত্মক আহত হন বিল্লালের স্ত্রী বানেছা (৫২)।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (উত্তর) সৈয়দ হারুন অর রশিদ জানান, পুলিশের একাধিক টিম অভিযানে রয়েছে। নান্দাইলের ভেতরেই পুলিশ অবস্থান নিয়ে আশেপাশের সম্ভাব্য জায়গাগুলোতে লাল মিয়া, কামাল ও ব্রাক্ষণবাড়িয়ার অজ্ঞাত দু’ব্যক্তির খোঁজ করছে। তাদের গ্রেফতার করা গেলেই হত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
নান্দাইল মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুরাদ আলী জানান, খুনিদের ধরতে পুলিশের ৫-৬টি টিম একযোগে কাজ করছে।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, অনেক আগে থেকেই উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের বাঁশাটি গ্রামের লাল মিয়া ছিলেন ডাকাত। নিজের ভাই বিল্লাল ও ছোট বোন কোহিলা’র জমি ও সহায় সম্পদ দখল করার টার্গেট ছিল তার। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল। মূলত বিল্লালকে সরিয়ে দিয়ে জমি আত্মসাৎ করার পরিকল্পনা ছিল লাল মিয়ার। সেখান থেকেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এমদাদুল হক ভূঁইয়া বলেন, সামান্য টাকা ধার না দেওয়া থেকে সৃষ্ট ঝগড়া থেকে লাল মিয়া ও তার ছেলেরা এতো বড় পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে তা ভেবেই পাচ্ছি না। খুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আব্দুল্লাহ জানান, আলোচিত এ খুনের ঘটনার মূল আসামিদের আমরা ইতোমধ্যেই শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। আগামী দু’ একদিনের মধ্যেই তাদের আমরা ধরতে সক্ষম হবো।
এদিকে, সন্দেহভাজন খুনি লাল মিয়ার ছোট ছেলে জামালকে কারা হত্যা করলো এ নিয়ে রহস্যের মধ্যে রয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী। পুলিশ বলছে, ব্রাক্ষণবাড়িয়া থেকে ভাড়া করে আনা খুনিরাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।