আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। গণপরিবহন সংকট ও অতিরিক্ত ভাড়া এড়াতে তারা ট্রাক-পিকআপে চড়তে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরের পর শিল্পকারখানা ছুটি হতে থাকায় সড়কগুলোতে যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে। তবে দূরপাল্লার পরিবহন সংকটে অনেককেই সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। যাত্রীরা অভিযোগ করেন, বাসে দ্বিগুণ, জায়গা ভেদে তিন গুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া বাইপাস থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত ৩০০ টাকায় যাত্রী তুলছিলেন ট্রাকচালক লিয়াকত। লিয়াকত বলেন, ‘গতকাল রাতে ঢাকায় কাঁচামাল নিয়ে ঢুকেছিলাম। সকালে যাত্রী কম থাকায় বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করে ট্রাক নিয়ে বের হয়েছি। খালি যাওয়ার চেয়ে যাত্রী নিয়ে গেলে কিছু টাকা আয় হবে।’
লিয়াকতের ট্রাকে করে ময়মনসিংহে যাচ্ছিলেন মো. আজিজুল। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে বাসে উঠতে পারিনি। ঢাকা থেকে যে বাসগুলো ময়মনসিংহ যাচ্ছে তা যাত্রী পরিপূর্ণ। আবার কিছু বাস ভাড়া নিচ্ছে কয়েকগুণ। ট্রাকে ৩০০ টাকায় ময়মনসিংহের বাইপাস পর্যন্ত যাচ্ছি। বাস না পেয়ে ট্রাকে যেতে বাধ্য হয়েছি।’
গাজীপুর থেকে শেরপুর যাওয়ার জন্য ৩৫০ টাকা ভাড়ায় পিকআপে রওনা হয়েছেন আতিকুল ইসলাম। আতিকুল বলেন, ‘বাসে অতিরিক্ত ভাড়া, বাস পেতে ভোগান্তিসহ নানা কারণে পিকআপে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এক সঙ্গে ২১ জন যাচ্ছি। এতে ঝুঁকির পাশাপাশি আনন্দও আছে। বৃষ্টি ঠেকাতে বাঁশ ও ত্রিপল দিয়ে তৈরি ছাউনি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’
মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কংকন কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘মহাসড়কে অনেক যাত্রী রয়েছে। অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। আমাদের নজরে আসা মাত্রই তাদের বুঝিয়ে নামিয়ে দিচ্ছি। আমরা যাত্রীদের অনুরোধ করব পিকআপ-ট্রাক পরিহার করে ঝুঁকিমুক্ত ঈদ যাত্রা করার।’
গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) নাজমুস সাকিব খান বলেন, ‘ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে কাজ করছে পুলিশ। পুলিশের ৬০০ সদস্য ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মোতায়েন করা হয়েছে। তারা দুই শিফটে দায়িত্ব পালন করছে। রাস্তায় প্রচুর যাত্রী আছে। তারা এখনো যানজট-মুক্তভাবেই বাড়ি যাচ্ছেন।