মাসুদ রানা সরকার, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের নামে মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে উপজেলা যুবলীগ। গত রবিবার, ২৫জুন বিকাল ৫ টায় মহাসড়ক সংলগ্ন বিটিসিএল অফিসের সামনে এই সমাবেশ করা হয়। সমাবেশে কুসুম্বি ইউনিয়নের যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের নামে মামলাকে ‘মিথ্যা মামলা’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ করেছে উপজেলা যুবলীগ।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বগুড়া জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শেরপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম তারেক ও সঞ্চালনা করেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ভুট্টো।সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বগুড়া জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাউসার হামিদ, শেরপুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববি ও বিভিন্ন ইউনিয়ন ও উপজেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।এসময় বক্তারা বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই সময়ে যুবলীগের নেতাকর্মীদের বিএনপি-জামাতের বিরুদ্ধে রাজপথে থাকার কথা। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কথিত আওয়ামীলীগের নেতাদেরকে মোকাবেলা করছে। তারা অবৈধভাবে কমিটি গঠন করে স্বেচ্ছাচারীভাবে দল পরিচালনা করছেন। এর প্রতিবাদ করায় তারা বিভিন্নভাবে যুবলীগের নেতা-কর্মীদের হয়রানী করছে। এই মিথ্যা মামলা তারই প্রমাণ বহন করে।। বক্তারা সমন্বিত তদন্তের মাধ্যমে অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহারের আহবান জানান।
উল্লেখ্য, উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়নের জামুর আলিম মাদ্রাসার একটি পুকুর নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ চলছে। এর জের ধরেই গত মঙ্গলবার, ২০ জুন রাতে ওই মাদ্রাসার ভারপ্রাাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল মান্নান (৫৩) প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হন। সেই রাতেই অধ্যক্ষের ছেলে আব্দুল হক বাদি হয়ে শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে সাবেক যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম, উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান, সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব নাঈম, যুবলীগ নেতা আব্দুর রহমান রুবেল, কুসুম্বি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মিলনুর রহমানসহ সাতজনকে আসামী করা হয়।