দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ১০ জনের সঙ্গে আরও ৩৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে সিআইডি। তবে নতুন ৩৭ জন আসামির নাম জানা যায়নি।
গত ২২ জুন ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। আজ রোববার আদালত সূত্রে চার্জশিট দাখিলের বিষয়টি জানা গেছে।
সূত্র জানায়, আগামি ৫ জুলাই সম্পূরক এ চার্জশিট আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
এরআগে ২০২১ সালের ৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। গত বছর ১ সেপ্টেম্বর মামলাটি চার্জগঠন বিষয়ে শুনানির জন্য ছিল। চার্জ শুনানিতে কিছু অসংগতি উঠে আসায় আদালত সিআইডিকে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন।
সেই নির্দেশনা মেনে নতুন করে আরও ৩৭ জনকে যুক্ত করে মোট ৪৭ জনকে আসামি করে চার্জশিট দিলো সিআইডি।
রুবেল বরকত ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেনের আপন ভাই খন্দকার মোহতেশাম বাবর, তার এপিএস সত্যজিৎ মুখার্জী, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, খোন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, এএইচএম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মুহাম্মদ আলি মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম।
উল্লেখ্য, দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ২০২০ সালের ২৬ জুন বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ।