পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কোরবানির পশুবাহী পরিবহন থামানো যাবে না। কেউ যদি পশুবাহী গাড়ি অথবা নৌযান থামায় তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আজ শনিবার দুপুরে গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার পুলিশ বক্সের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি গাজীপুর চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকায় পৌঁছালে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান গাজীপুরের মহানগর পুলিশ। পরে তিনি গাড়ি চালকদের মধ্যে ট্রাফিকিং সংক্রান্ত সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ করেন।
এ সময় পুলিশের অতিরিক্ত আইজি (হাইওয়ে) মো. শাহাবুদ্দিন খান, ডিআইজি মো. হায়দার আলী খান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. দেলোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের এআইজি (মিডিয়া) মো. মঞ্জুর রহমান, গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মো. আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ ও মো. ইব্রাহিম খান উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি বলেন, কেউ এ ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হলে নিকটস্থ থানা অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করুন। প্রয়োজনে আপনারা পশুবাহী পরিবহনের সামনে পশুর গন্তব্য স্থান/হাটের নাম ব্যানারে লিখে রাখবেন।
তিনি বলেন, ‘সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গত ঈদুল ফিতরে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক ছিল। গতবারের অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা এবারও নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। তবে এবার গত ঈদের চেয়ে চ্যালেঞ্জ ভিন্ন। কারণ গতবার শুধু যাত্রীদের তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়েছে। এবার যাত্রীর পাশাপাশি কোরবানির পশু পরিবহনও আছে। এছাড়া রয়েছে মৌসুমি ফল পরিবহন। আমরা সবকিছু বিবেচনায় রেখেই আমাদের নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজিয়েছি।’
পুলিশ প্রধান বলেন, জনগণের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা পুলিশসহ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটসমূহ একযোগে কাজ করছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবারও জনগণের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে। সরকার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করেছে। পদ্মা সেতু হয়েছে। মানুষ যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে সেজন্য আমরা নিরলস কাজ করছি।’