বিআরটি প্রকল্পের ৯২ ভাগ কাজ শেষ এক অংশ দিয়ে চলছে গণপরিবহন

Slider জাতীয়

Exif_JPEG_420

টঙ্গী: রাজধানীর এয়ারপোর্ট থেকে গাজীপুর পর্যন্ত ২০কি:মি: বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প চলতি ২০২৩ সালের জুনে বাস চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানালেও কাজ শেষ হয়নি। যানজট এড়াতে এরি মধ্যে এক অংশে গণপরিবহন চলাচল শুরু করেছে। শুক্রবার প্রকল্প পরিচালক মোঃ মহিরুল ইসলাম খান বলেছেন, ১৭জুন পর্যন্ত ৯১ ভাগ কাজ শেষ হয়েছিল। এখন আরো এক ভাগেরও বেশী কাজ শেষ হয়েছে। তবে ৯০ ভাগের উপরে কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান তিনি। চলতি বছরের ৪জুন বিআরটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিআরটি প্রকল্প মধ্য-সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের শুরুতে চালু করতে পারব। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে পুরোদমে কাজ চলছে। চলতি ১৭ জুন তারিখ সবশেষে সেতুমন্ত্রী কাজ
পরিদর্শন করে গেছেন।

শুক্রবার(২৩ জুন) টঙ্গীর কলেজ গেট থেকে হাউস বিল্ডিং পর্যন্ত বিআরটি প্রকল্প ঘুরে দেখা যায়, প্রকল্পের একটি ডবল লেন দিয়ে গণপরিবহন যাতাযাত করছে। কলেজগেট থেকে হাউসবিল্ডিং পর্যন্ত ৪দশমিক ৫০ কিঃ মিঃ অংশের বেশ কয়েকটি জায়গায় নির্মান কাজ চলছে। নির্মান কাজ চলমান অবস্থায় একটি ডবল লেন দিয়ে গণপরিবহন যাওয়া- আসা করছে। প্রকল্প সংশিøষ্টরা বলছেন, অধিকাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সঠিকভাবে কতভাগ কাজ শেষ হয়েছে তা আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হবে।

সরেজমিন দেখা যায়, ছোট বড় গাড়ি চলছে, ট্রাক লরিও চলমান। তবে গরু বোঝাই কোন ট্রাক চলাচল করতে দেখা যায়নি। গণপরিবহন চলাচলের পাশাপাশি নির্মান কাজও চলছে জোরেশোরে। পর্য়াপ্ত সংখ্যক কর্মী ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক যন্ত্রপাতি ২৪ ঘন্টাই কাজ করছে বলে জানা গেছে।

চলতি বছরের ৪জুন বিআরটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিআরটি প্রকল্প মধ্য-সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের শুরুতে চালু করতে পারব।

বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার বিআরটি প্রকল্পেনর মধ্যে রয়েছে- এয়ারপোর্ট উড়াল সেতু, জসীমউদ্দিন উড়াল সেতু, হাউজবিল্ডিং থেকে স্টেশন পর্যন্ত নির্মিত উড়াল সেতু, টঙ্গীতে উড়াল সেতু অংশে নির্মাণাধীন স্টেশন, সমতলে নির্মাণাধীন স্টেশন (তারাগাছ স্টেশন), বিআরটি করিডোরের নির্বাচিত সড়কের অংশ, গাজীপুর চান্দনা চৌরা¯Íা স্টেশন ও উড়াল সেতু,
বিআরটি ডিপো (নলজানি, গাজীপুর)। চলমান প্রকল্পটি চালু হলে এই রুটে চলাচলকারী জনগণের ভোগান্তি অনেকটা কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এর আগে বিআরটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, বর্তমানে প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি ৭৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। শতভাগ সক্ষমতা ব্যবহার করতে পারলে যথাসময়ে কাজ শেষ করা যাবে। কিন্তু কাজ যথাসময়ে শেষ হয়নি।

২০২২ সালের ১৯ আগষ্ট এমডি কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, চলাতি বছরের ডিসেম্বর মাসে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার সময় নির্ধারিত ছিল। তবে সেই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হচ্ছে না। পুরো কাজ শেষ হতে আগামী বছর মার্চ লেগে যেতে পারে। এরপর বাস চলাচলের জন্য আরও ৩ মাস সময় লাগতে পারে। ফলে ২০২৩ সালের জুনে চালু হতে পারে বলে জনিয়েছে ছিলেন বিআরটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ঠিকাদার কর্তৃপক্ষের দুটো দল চীন থেকে এসেছে। তাদের সঙ্গে আমরা মিটিং করেছি জানিয়ে তিনি বলেন, তারা আশ্ব¯Í করেছেন। তাদের কাছে আমাদের মূল তিনটা চাওয়া। ফান্ডের যে ঘাটতি এটা পূরণ করতে হবে। লোকবলের ঘাটতি পূরণ করতে হবে। শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তারা সব বিষয়ে একমত হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *