বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নিশিরাতের সরকার বুঝে গেছে, জনগণ এখনই তাদের পদত্যাগ চায়। বিএনপি যেখানেই সমাবেশ করছে সেখানেই সাধারণ মানুষের ব্যাপক ঢল নামছে।
বুধবার এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব একথা বলেন। এ সময় তিনি অসত্য ও বানোয়াট মামলায় গাজীপুর মহানগর কৃষকদলের আহ্বায়ক মো: আতাউর রহমানকে গতরাতে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অবৈধ সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনে দেশের মানুষ যখন দিশেহারা ঠিক তখনই তরুণ নেতৃত্বকে বেছে বেছে গ্রেফতার করছে এবং নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সরকারের পতন ঘনিয়ে আসছে- সেই আতঙ্কে পবিত্র ঈদুল আজহার আগে আবারও অমানবিক গ্রেফতার—নির্যাতনে মেতে উঠেছে তারা।
মির্জা ফখরুল বলেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে তারা বিরোধী দলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ওপর জুলুম চালাচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে—দেশটা এখন আওয়ামী লীগের পৈতৃক সম্পত্তি। বর্তমান শাসকগোষ্ঠী দেশকে বিরোধী দলশূন্য করে নিজেদের একচ্ছত্র শাসন দীর্ঘায়িত করার গভীর চক্রান্তে লিপ্ত। বিএনপি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল, এই দলটিকে ধ্বংস করে দেশে এক ব্যক্তির শাসন কায়েম করতেই বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে কারারুদ্ধ করার মাধ্যমে লক্ষ্য বাস্তবায়নে নিরন্তর অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। কতৃর্ত্ববাদী সরকার এখন নিশ্চিত যে, তাদের সময় ফুরিয়ে এসেছে, আর এ কারণেই তারা এখন বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে মরণকামড় দিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
আতাউর রহমান সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলেই তাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে- এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, তবে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর ভোটারবিহীন আওয়ামী সরকারের নির্যাতন-নিপীড়ন যত বাড়বে প্রতিবাদের ঝড়ের গতি ততই তীব্র হবে। আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই—নিপীড়ন-নির্যাতন বন্ধ করুন, দেশের স্বার্থে অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।
বিবৃতিতে গ্রেফতার মোঃ আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং তার নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।