টঙ্গীতে গরুর বাজার দুবার ইজারা দেয়ার অভিযোগ নিয়ে উত্তেজনা

Slider গ্রাম বাংলা

টঙ্গী(গাজীপুর) প্রতিনিধি: আসন্ন ঈদুল আজহায় গাজীপুর সিটিকরপোরেশনের অধীন টঙ্গী এলাকায় কোরবানীর গরুর একই বাজার দুবার ইজারা দেয়ার অভিযোগ নিয়ে
উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, গাজীপুর সিটিকরপোরেশনের টঙ্গী এলাকায় “টঙ্গী রোড অস্থায়ী পশুর হাট ”নামে একটি বৃহৎ গরুর বাজার এক কোটি ৮২ লাখ টাকায় ইজারা দেয়। স্থানীয় কলমেশ্বর গ্রামের মৃত মনির হোসেন রবির ছেলে আরিফুল হক রকি সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে এই বাজার ইজারা পেয়ে টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দেন।

রকির অভিযোগ, জনৈক মমতাজ উদ্দিন নামে এক ব্যাক্তি জেলা প্রশাসকের নিকট থেকে রকির ইজারা নেয়া সীমার মধ্যে দুটি বাজার ইজারা নেয় বলে শুনছি। এদিকে টঙ্গীর গাজীপুরা এলাকার সাতাইশ সাকিনের খাজা গরীবে নেওয়াজ(রা:) রোডে রাজনগর বাগান বাড়ি এলাকায় দুটি গরুর বাজার ইজারা নিয়েছেন বলে দাবী করছেন জনৈক মমতাজ উদ্দিন। এই দুটি গরুর বাজার রকির ইজারা নেয়া গরুর বাজারের সীমানার মধ্যে বলে দাবী রকির। গত ১৯জুন আরিফুল হক রকি গাজীপুর সিটিকরপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর নিজের সীমানা রেখায় অবস্থিত দাবী করে মমতাজ উদ্দিনের দুটি গরুর বাজার বন্ধ করার জন্য লিখিত আবেদন করেন( স্বারক নং ৮৩৭৬৭ তাং ১৯/৬/২৩)।

এ বিষয়ে আরিফুল হক রকির বলেন, আমি অনেক টাকা দিয়ে বৃহৎ গরুর বাজার ইজারা নিয়েছি। মমতাজের দুটি গরুর বাজার হলে আমার বাজার অচল হয়ে যাবে। তাই আমি মমতাজের দুটি গরুর বাজার বন্ধ করার আবেদন করেছি।

এ বিষয়ে মমতাজ উদ্দিন বলেছেন, আমি দুটি গরুর বাজার দেড় লাখ টাকায় জেলা প্রশাসন থেকে ইজারা নিয়েছি। আমার বাজারে রকির কোন ক্ষতি হয় না। তিনি বাজার ইজারা দেয়ার মালিক জেলা প্রশাসক, সিটিকরপোরেশন নয় বলে দাবী করেন। তবে ইজারার কোন কাগজ দিতে পারেননি মমতাজ উদ্দিন।

এ বিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ছুটিতে থাকার কথা বলে আলী আজম( পরিদর্শক তদন্ত) বলেন, গরুর বাজারের বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। আমি রাজনগর বাগান বাড়ি এলাকায় আছি একটি পোষাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ মিমাংসা করতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *